বগুড়ায় দুই বিচারকের প্রত্যাহারের দাবিতে এজলাসে তালা ঝুলিয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ১১:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

কর্মচারীদের অভিযোগ, এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও মনিরুজ্জামান শেখ হাসিনা সরকারের খুব আস্থাভাজন ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলায় তাঁরা জামিন দেননি। কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি–নির্যাতন করেছেন। জেলা প্রশাসক বিচার বিভাগের কেউ নন। অতীতে কখনো জেলা প্রশাসককে সংবর্ধনা দেওয়ার নজির নেই। জেলা ও দায়রা জজের মৌখিক নির্দেশে একজন কনিষ্ঠ বিচারক জেলা প্রশাসকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিচারকদের গ্রুপে বার্তা দিয়েছেন।
বগুড়া জজ আদালতের প্রধান হিসাবরক্ষক তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চাকরির মেয়াদ চার বছর পূর্ণ করেছেন, আদালতের এমন সেরেস্তাদের মধ্য থেকে একজনকে নাজির নিয়োগ দেওয়ার কথা। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনিই নাজির নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু জেলা ও দায়রা জজ নিয়ম ভেঙে শাহীন ইকবাল নামের একজনকে নাজির নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া যোগদানের পর থেকেই তিনি কর্মচারীদের রাত নয়টা পর্যন্ত আদালতে কাজ করতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া শুক্র ও শনিবারও তিনি কর্মচারীদের অফিসে আসতে বাধ্য করতেন। শেখ হাসিনা সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় এত দিন তাঁর এসব স্বেচ্ছাচারী আচরণের প্রতিবাদ করার সাহস পাননি কর্মচারীরা।
নাজির নিয়োগে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, শাহীন ইকবালকে অবৈধভাবে নাজির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে অপসারণ করে অন্য কাউকে নাজির নিয়োগ করতে হবে।