ঢাকা ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Munshiganj DC Place of work Activity Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন বিসিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BSCIC Process Round 2025 bdnewspost.com নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Narayanganj DC Place of job Task Round 2025 bdnewspost.com এইচএসসি ইংরেজি ২য় পত্র প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ (সকল বোর্ড) bdnewspost.com ভর্তি চলছেঃ BUBT-এর অর্থনীতি প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনার ভবিষ্যৎ উন্মোচন করুন! bdnewspost.com আলিম বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৪ PDF bdnewspost.com Alim Bangla 2d Paper Query answer 2025 – Alim Bangla 2d Paper Query Solution 2025 PDF Obtain bdnewspost.com আলিম বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৫ PDF bdnewspost.com HSC English 2d Paper Query Solution 2025 – HSC English 2d Paper Query resolution 2025 PDF All Board bdnewspost.com এইচএসসি ইংরেজি ২য় পত্র প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ (সকল বোর্ড) bdnewspost.com

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে


দেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এবার সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ৯ জন করা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটি বৈঠক করা ছাড়া কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন করে এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

পুনর্গঠিত কমিটিতে গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে টাস্কফোর্সের সদস্য করা হয়েছে।

আর নতুন টাস্কফোর্স থেকে বাদ দেয়া হয়েছে- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে (বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ)।

এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দেওয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে। টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি হবে-

১. বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করা।

২. পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও তা দূরীকরণে উদ্যোগ নেয়া।

৩. বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া।

৪. জব্দ বা উদ্ধার হওয়া সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া।

৫. এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আহরণ করা এবং

৬. পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞকে সভায় উপস্থিত হওয়াসহ বিশেষজ্ঞ মতামত বা পরামর্শ দেওয়া অনুরোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্সের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন এবং বিএফআইইউ টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।

উল্লেখ্য, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে প্রথম ১০ সদস্যের আন্তসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। পরে ২০২২ সালের ৫ জুন এর সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৪। বরাবরই অ্যাটর্নি জেনারেলকে আহ্বায়ক করা হয়। আর সদস্যসচিব ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপপ্রধান কর্মকর্তা। এত বছর তারা শুধু বৈঠক করেছেন, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আবারও পুনর্গঠন করা হয় ওই টাস্কফোর্স।

প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন

আপডেট সময় : ০১:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


দেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এবার সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ৯ জন করা হয়েছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটি বৈঠক করা ছাড়া কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন করে এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

পুনর্গঠিত কমিটিতে গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে টাস্কফোর্সের সদস্য করা হয়েছে।

আর নতুন টাস্কফোর্স থেকে বাদ দেয়া হয়েছে- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে (বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ)।

এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দেওয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে। টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি হবে-

১. বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করা।

২. পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও তা দূরীকরণে উদ্যোগ নেয়া।

৩. বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া।

৪. জব্দ বা উদ্ধার হওয়া সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া।

৫. এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আহরণ করা এবং

৬. পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞকে সভায় উপস্থিত হওয়াসহ বিশেষজ্ঞ মতামত বা পরামর্শ দেওয়া অনুরোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্সের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন এবং বিএফআইইউ টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।

উল্লেখ্য, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে প্রথম ১০ সদস্যের আন্তসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। পরে ২০২২ সালের ৫ জুন এর সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৪। বরাবরই অ্যাটর্নি জেনারেলকে আহ্বায়ক করা হয়। আর সদস্যসচিব ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপপ্রধান কর্মকর্তা। এত বছর তারা শুধু বৈঠক করেছেন, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আবারও পুনর্গঠন করা হয় ওই টাস্কফোর্স।

প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ