নিত্যপণ্যের বাজারে ফিরেনি স্বস্তি, আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের
- আপডেট সময় : ০২:২৭:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
সরকার বদলের দুই সপ্তাহ পরও নিত্যপণ্যের বাজারে ফিরেনি স্বস্তি। চাল, আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে আর কাঁচামরিচ ও শসাসহ কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বেগুনসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে উল্টো বন্যার প্রভাবে সামনে আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের আলু বিক্রেতা লাল মিয়া বলেন, আমার আলু মুন্সীগঞ্জ থেকে আইছে। গত সপ্তাহে বিক্রি করছি ৫২ টাকা কেজি, আজ ৫০ টাকা করে বিক্রি চলতেছে।
এদিকে, পাইকারিতে পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১১২ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ১০৪ টাকা। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে। ক্রেতাদের প্রতি কেজি রসুন কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। চীন ও ভিয়েতনামের আদা ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় মিললেও দেশি আদা কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি বেগুনের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা; মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
বন্যার কারণে দামে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি দাবি করে সবজি বিক্রেতা আলাল চাঁন বলেন, বেগুনের দাম এখন একটু বেশি। অন্য পণ্যেরও দামও বাড়তির দিকেই। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় মাল ঠিক মতো উঠাইতে পারে নাই। বাজারে বেশির ভাগ মাল আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। আর সিলেট অঞ্চল, কুমিল্লা-ফেনী অঞ্চল থেকে যেসব মাল আসে, সেগুলোর হয়ত দাম বাড়ছে কিছু। কিন্তু খুব কম মাল আসে এই সাইট থেকে। তবে দোকান মালিক সমিতি নির্দেশনা দিয়েছে আপাতত দুই-তিন টাকা লাভ করার জন্য বলেছে৷ বেশি লাভ যেন কেউ না করে- সেদিকে নজর রাখতে বলছে। কারণ দেশের এই অবস্থায় মানুষের পাশে মানুষকে দাঁড়াতে হবে।
অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে কাকরোল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। কাঁচা পেঁপে, ঢেঁড়স ও পটল বিক্রি হিচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা এবং লাউ প্রতিটি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি শসার দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হলেও শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা করে কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে করলা ও ধুন্দল। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কুমড়াও। তবে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা, এখন প্রতি কেজি মিলছে ২৪০ টাকায়।
এদিকে, গত সাত দিনে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে।
তবে কারওয়ান বাজারের চালের পাইকারি দোকান চাটখিল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা নাইম হোসেন জানিয়েছেন, চালের বাজারে খুচরায় মিনিকেট চালের দর ৭১ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, বিআর-২৮ এর দর ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, হাইব্রিড মোটা চাল, গুটি স্বর্ণা ও গুটি ৫৩ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো সবকিছুর দাম একই আছে। দাম নতুন করে আর এখনও কমে নাই বা নতুন করে আর বাড়ে নাই বলেও দাবি করেন তিনি।
সূত্র: বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ