নদী-খাল দখল ও ভরাটের কারণে বন্যার পানি নামছে ধীরগতিতে
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, সার্বিকভাবে কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। অনেক স্থান দখল ও ভরাটের কারণে পানি নামার পথ সংকুচিত হয়ে গেছে। অবাধে নদী ও খাল দখল এবং ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। জেলার দক্ষিণাঞ্চলের পানি ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চাঁদপুরের শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ হয়ে চাঁদপুরে গিয়ে মেঘনা নদীতে মেশে। ধীরগতির কারণে এসব এলাকায় পানি নামতে সময় লাগছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রভাবশালীরাই নন, বিগত সময়ে খাল ভরাট করে এসব অঞ্চলের মানুষ ও কৃষির ব্যাপক ক্ষতি করে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও। ২০২০ সালের শুরু থেকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পে কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভরাট হয় শত বছরের বেরুলা খালটি। এটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৬০ কিলোমিটার। লাকসাম, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ হয়ে খালটি মিশেছে নোয়াখালীর চৌমুহনী খালে গিয়ে। এরপর সেখান থেকে এই পানি যেত বঙ্গোপসাগরে। কিন্তু খালটি ভরাটের কারণে এ অঞ্চল থেকে পানি নামতে তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, কয়েক হাজার একর কৃষিজমি ও কৃষকেরও সর্বনাশ হয়েছে।