খাগড়াছড়িতে আদিবাসী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন
- আপডেট সময় : ০৮:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় এক আদিবাসী নারীকে দুই পুরুষ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভিকটিমের এক চাচাতো ভাই জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আট থেকে ১০ জনের একটি দল পাটাছড়া ইউনিয়নে ৪০ বছর বয়সী নির্যাতিতার বাড়িতে যায়, যেখানে আট বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর সে এবং তার কিশোরী মেয়ে বসবাস করত। .
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ছুরি দিয়ে অপরাধীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। তারপর, তিনি তার মেয়েকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু খালটি পার হতে না পারায় নিকটবর্তী পিলাক খালের তীরে অপরাধীরা তাদের ধরে ফেলে।
এরপর তারা তাকে কাছের একটি কলা বাগানে টেনে নিয়ে যায় যেখানে দুইজন লোক তাকে ধর্ষণ করে, ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে চাচাতো ভাই ডেইলি স্টারকে জানায়। তার মেয়ে কোনোমতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডেইলি স্টার নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় জেলাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতা জানান, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ ছিল না।
খাগড়াছড়ি জেলার একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
“খারাপ পরিস্থিতির কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে আমরা অবশ্যই দোষীদের গ্রেপ্তার করব এবং তাদের আইনের আওতায় আনব,” নাম প্রকাশ না করার অনুরোধকারী এই কর্মকর্তা বলেছেন কারণ তিনি এখনও ঘটনার সম্পূর্ণ তথ্য পাননি৷
শুক্রবার রামগড়-ঢাকা সড়কে নাকাপা বাজারে নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), ডেমোক্রেটিক ইয়ুথ ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য নারী সংঘ মিছিলের আয়োজন করে।
পরে এক সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক পাহাড়ি নারী ও মেয়ে ধর্ষণের শিকার হলেও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।