ঢাকা ০৩:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||

আ.লীগ নেত্রীর মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে


চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ছাত্রদের থানায় হামলা এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরে ঘটনায় ১০ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলা ও মারধরের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ।

মামলার আসামিরা হলেন-শহরের কোড়ালিয়া রোডের হারুন ছৈয়ালের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২২), তার মা মাসুমা বেগম (৪২), একই এলাকার তাহসিন হোসেন (১৮), আল-আমিন (২৮), ট্রাক রোডের মো. রাকিব ভূঁইয়া (২৩), আরফিন আলিফ (২০), মো. সাফায়াত (২২), সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম (২৩), রিফাত (১৯) ও মো. আরাফাত (১৯)।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামাদ ও সঙ্গীয় ফোর্স কোড়ালিয়া রোডে যান। সেখানে গিয়ে আসামি ফাতেমা পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে বিবাদী পক্ষের লোকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনা শান্ত করে থানায় চলে আসে। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর ফাতেমা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে থানায় আসেন। তাদের বুঝিয়ে ওসি বিদায় করেন।

এরপর পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে  ফাতেমা ও তার মা পুলিশের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে উসকানি দেন ছাত্রদের। তখন ওই ছাত্ররা তাদের পক্ষ হয়ে থানায় প্রবেশ করে কর্মকর্তাসহ সবার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা এসআই সামাদের ম্যাচের খাবার ঘরে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করে। এই ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসআই সামাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এমন পরিস্থিতি দেখে ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকেও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আ.লীগ নেত্রীর মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায়

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ছাত্রদের থানায় হামলা এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরে ঘটনায় ১০ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় মামলাটি দায়ের করেন হামলা ও মারধরের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ।

মামলার আসামিরা হলেন-শহরের কোড়ালিয়া রোডের হারুন ছৈয়ালের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২২), তার মা মাসুমা বেগম (৪২), একই এলাকার তাহসিন হোসেন (১৮), আল-আমিন (২৮), ট্রাক রোডের মো. রাকিব ভূঁইয়া (২৩), আরফিন আলিফ (২০), মো. সাফায়াত (২২), সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম (২৩), রিফাত (১৯) ও মো. আরাফাত (১৯)।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামাদ ও সঙ্গীয় ফোর্স কোড়ালিয়া রোডে যান। সেখানে গিয়ে আসামি ফাতেমা পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে বিবাদী পক্ষের লোকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনা শান্ত করে থানায় চলে আসে। পরবর্তীতে ৯ সেপ্টেম্বর ফাতেমা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে থানায় আসেন। তাদের বুঝিয়ে ওসি বিদায় করেন।

এরপর পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে  ফাতেমা ও তার মা পুলিশের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে উসকানি দেন ছাত্রদের। তখন ওই ছাত্ররা তাদের পক্ষ হয়ে থানায় প্রবেশ করে কর্মকর্তাসহ সবার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা এসআই সামাদের ম্যাচের খাবার ঘরে গিয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে মারধর করে। এই ঘটনায় থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসআই সামাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এমন পরিস্থিতি দেখে ওই সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকেও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।