টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিতে জেটনেট-বিডি’র আত্মপ্রকাশ
![](https://bdnewspost.com/wp-content/uploads/2023/09/1695534648060.jpg)
- আপডেট সময় : ০৬:৫৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
![](https://bdnewspost.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
টেকসই ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে দেশের জ্বালানি বিষয়ক সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ‘জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জেটনেট-বিডি)’। ৭৫টি নাগরিক সংগঠন (সিএসও), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, স্থানীয় সংগঠন, জ্বালানিখাত বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদদের নিয়ে এই নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই নেটওয়ার্কের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
দেশে জ্বালানি সুশাসন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, সবুজ কর্মসংস্থান, ন্যায্য ও সবুজ জ্বালানি রূপান্তরে নারীদের অংশগ্রহণ, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ, পরিবেশ ও জনপদের সুরক্ষা, ক্যাম্পেইনসহ আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে জেটনেট-বিডি।
নেটওয়ার্কের উদ্বোধন শেষে জ্বালানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তরের জন্য ১৪ দফা নাগরিক দাবিনামা প্রচারণার শুরু ঘোষণা করা হয়।
এসময় একশনএইড বাংলাদেশ-এর জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন (জেট) টিমের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেটনেট-বিডি-এর কার্যকরী লক্ষ্য হলো সুশীল সমাজের জোরালো কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং একটি সবুজ ও টেকসই জ্বালানি নির্ভর ভবিষ্যতের জন্য সবাইকে সংগঠিত করা। সহযোগিতামূলক এই নেটওয়ার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রচার, সদস্য সংগঠনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং নীতি-নির্ধারকদের প্রভাবিত করার মধ্য দিয়ে দেশে একটি টেকসই জ্বালানি রূপান্তর অর্জনে নিবেদিত থাকবে।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আগামী দিনে কয়লাভিত্তিক নতুন বিদ্যৎকেন্দ্র যাতে না হয় এবং বিদ্যমান প্রকল্পগুলো যাতে দ্রুত অবসরে যায়–এই বিষয়ে সরকারকে কীভাবে পরামর্শ দেওয়া যায়, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে। জেটনেট-বিডির সহায়তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর সাপ্লাই চেইন গড়ার আলোকে বিস্তারিত কর্ম-পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন দরকার।”
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট এমবুসো গওফিলা বলেন, সৌর বিদ্যুতের একচ্ছত্র প্রভাব থেকে সরে এসে স্থানীয় পর্যায়ে বায়োগ্যাস ও বায়োমাস নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আরও মনোযোগ দেয়া যেতে পারে।
এসময় অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বি. ডি. রহমতউল্লাহ, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট এমবুসো গওফিলা, জিআইজেড বাংলাদেশের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর স্টোয়াঙ্কা স্টিচ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ-এর এনভায়েরেনমেন্ট অ্যান্ড এনার্জির প্রোগ্রাম ম্যানেজার তানজিনা দিলশাদ, এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধি মাশিউর রাহমান, জেটনেট-বিডি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য সানজিদা সুলতানাসহ এক শতাধিক নাগরিক সংগঠন (সিএসও), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, স্থানীয় সংগঠনের পরিবেশ ও জ্বালানিখাতের বিশেষজ্ঞ, এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএএস/জেএইচ