ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Workplace Activity Round 2025 bdnewspost.com মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Process round 2025 bdnewspost.com রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Activity Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি bdnewspost.com বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর নিয়োগ Police Particular Department Task Round 2025 bdnewspost.com গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মডেল ইউনাইটেড নেশনস- এর সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত bdnewspost.com কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে কিছু তথ্য bdnewspost.com ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে উদযাপিত হল ‘কমনওয়েলথ স্কলার্স ওয়েলকাম হোম’ bdnewspost.com হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ Habiganj DC Place of work Activity 2025 bdnewspost.com জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DPHE Process round 2025 bdnewspost.com

হৃদয়বন্দি কথাগুলো মুক্তি পাক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে


মোহাম্মদ রায়হান

‘এইটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও। তোমার শাড়ির মতো-অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি’—মহাদেব সাহার এটুকু দাবি কি তার প্রেয়সী রেখেছেন? হয়তো রেখেছেন, হয়তো না। এ যুগের প্রেয়সী কি মহাদেব সাহার চোখে চিঠি লেখা প্রেমিকা? কবি তার প্রেমিকার কাছে প্রেম প্রার্থনা করে সেসময় চেয়েছেন করুণা করে হলেও একটি চিঠি যেন পান, মিথ্যে বলে যদি চিঠিতে ভালোবাসার কথা টুকে দেয়! মহাদেব সাহা কি আজকের চিঠি দিবসেও একখানি চিঠি পেয়েছেন? নাকি হালের পুরুষদের মতো চিঠি লেখার কথা ভুলেই বসেছেন মধ্যরাতে গালগল্পে ভেসে গিয়ে?

চিঠির কদর সুপ্রাচীন। আধুনিক বিশ্বে নতুন প্রজন্ম চিঠির মানে না বুঝলেও শতবর্ষ আগেই বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা ভাবে উদ্ভাসিত হয়েছিল চিঠির কদর। আব্রাহাম লিংকনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোথাও এখনো শোভা পায় আব্রাহাম লিংকনের লেখা তার সন্তানের শিক্ষকের প্রতি চিঠি। ‘Letter from Birmingham prison’ নামে পরিচিত মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের খোলা চিঠি কিংবা ইংরেজ লেখিকা ভার্জিনিয়া উলফ সুইসাইড নোট হিসেবেও লিখে যাওয়া চিঠি এখনো সমাদৃত সচেতন মানুষদের মননে। বাঙালি কবি, সাহিত্যিকও চিঠিকে রেখেছেন উচ্চাসনে। কবিতায়, গল্পে-গানে চিঠির মাহাত্ম্য ফুটে উঠেছে অনেক। আজ বিশ্ব চিঠি দিবস। চিঠি দিবসকে তুলে রাখুন ‘চিঠিদের’ জন্য।

চিঠি লিখুন মায়ের কাছে

মা পরম যত্নে গড়ে তোলেন সন্তানকে। খেয়ে-না খেয়ে, রোগে-শোকে ভুগেও সন্তানকে যত্নে-স্নেহে লালন করেন। মায়ের ত্যাগের প্রতিদান দিতে কোনো সন্তানই পারে না। কিন্তু ত্যাগের ফলস্বরূপ মায়ের প্রতি ভালোবাসা জিইয়ে রাখে সন্তানরা। সেই ভালোবাসা সন্তান খুব কমই প্রকাশ করে। কখনো প্রকাশ করার সুযোগ হয় না, কখনোবা প্রকাশ করতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে। কখনো প্রকাশের ইচ্ছে জাগে না। তাই আজ ঝটপট সুদৃশ্য বাহারী খামে মায়ের হাতে পৌঁছে যাক ভালোবাসার চিঠি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের প্রতি লেখা চিঠির মতো বিশাল নয়, যাতে অন্তত স্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকুক ‘ভালোবাসি মা’।

করুণা করে হলেও চিঠি দিও

‘তোমার যত্নে গড়া আঙুলের ডগায় যে তুলিতে বেদনা আঁকো, সে তুলিতেই লিখো ভুল-অক্ষরের চিঠি’—এই যে সকাল-সন্ধ্যা বিরক্তিকর শহুরে ঝঞ্জাটে এপাশ থেকে ওপাশে কখনো রুঢ় শব্দের প্রেম, কখনো নীরবে নিসপিস করা ঠোঁটের ফিসফিস প্রেমের আদান-প্রদান করি, আমাদের অন্তরের যতটুকু রং সবই তো গেল ফিকে হয়ে। আজকের দিনে এই নিবেদন, করুণা করে কঠিন প্রেমের বদলে কুচকে যাওয়া কাগজে ভুল অক্ষরে হলেও পাঠাও এক টুকরো প্রেম। আর তোমার কপালের খসে পড়া একখানি টিপ এঁটে দিও পত্রের এক কোণে। সাদা কাগজে তোমার কুন্তলের সুবাস মেখে পাঠিয়ে দিও মায়ার খামে। নদীর নামে ডাকা প্রেমিকাদের নির্মল বয়ে চলার ফাঁকে কিছুক্ষণ নিশ্বাস পড়ুক প্রেমিকের ঠিকানায় পাঠানো কাগজের কালো অক্ষরের ভিড়ে, মায়া ঝরুক চিঠিতে।

আরও পড়ুন

না-বলা কথা টুকে দিন

কথা হলো পাখি, মন পাখির খাঁচা। দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা একেক রকম পাখি; মানুষের মন নামের খাঁচায় বন্দি থাকে হরহামেশাই। একটি নির্জন দুপুরে পাখির ডাক শুনতে শুনতে বলবো কিংবা একটি চাঁদনি রাতে আসন পেতে মেঘের জলে চাঁদনিস্নান দেখতে দেখতে মন-খাঁচার কথা নামের পাখিগুলোকে ছেড়ে দেবো বলে বলে আর নির্জন দুপুর পাওয়া হয় না, জোছনা দেখতে বসা হয় না বাড়ির ছাদে। এমনই খাঁচাবন্দি কথাগুলো মুক্তি পাক চিঠি দিবসে। কথা নামের পাখিগুলো প্রাণ পাক কালো অক্ষরে অক্ষরে। লিখে ফেলুন একটি চিঠি কিংবা একটি হলুদ খামের চিরকুট। উড়িয়ে দিন।

উড়ো চিঠি
গানে কবিতায় উড়ো চিঠির বন্দনা আর কত? গানে গানে আকাশের ঠিকানায় চিঠি নয় আর। আপন মনের কথা অন্যকে শুনিয়ে যেমন মন হালকা হয়, তেমনই কাগজবন্দি কালো অক্ষরকে মুক্ত করে চিঠি বেনামি ঠিকানায় পোস্ট করে দিন এই চিঠি দিবসে। এতেও হালকা হবে মন। আকাশের প্রতি প্রেম, সাগর-সলিল কিংবা পাথারের তরে প্রেম উঠে যাক সাদা কাগজে কলমের ডগায়।

পত্রপ্রেম জুটুক
এ যুগের মৃণালিনী দেবীদের মন কাড়ার চেষ্টায় রবিঠাকুরের সুরেই একখানি পত্র পৌঁছে যাক ডাকে। ‘তোমার সন্ধ্যা বেলাকার মনের ভাবে আমার কি কোনো অধিকার নেই?’ বলে রবিঠাকুর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মৃণালিনী দেবীকে। কাজী নজরুল ইসলাম গেয়েছেন প্রেমের গান। ‘তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নববর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ-মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল। পনের বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি বারিধারার প্লাবন নেমেছিল, তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো। আষাঢ়ের নব মেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার…’ এ যুগেও জীবন্ত সব মৃণালিনী দেবী আর নার্গিসরা ছুটে যাক ডাকঘরে। বুকপকেটে চেপে রাখুক হলুদ খামের চিঠি কিংবা রেগেমেগে খুলে বসুক চিঠির পাতা।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।


নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হৃদয়বন্দি কথাগুলো মুক্তি পাক

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪


মোহাম্মদ রায়হান

‘এইটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও। তোমার শাড়ির মতো-অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি’—মহাদেব সাহার এটুকু দাবি কি তার প্রেয়সী রেখেছেন? হয়তো রেখেছেন, হয়তো না। এ যুগের প্রেয়সী কি মহাদেব সাহার চোখে চিঠি লেখা প্রেমিকা? কবি তার প্রেমিকার কাছে প্রেম প্রার্থনা করে সেসময় চেয়েছেন করুণা করে হলেও একটি চিঠি যেন পান, মিথ্যে বলে যদি চিঠিতে ভালোবাসার কথা টুকে দেয়! মহাদেব সাহা কি আজকের চিঠি দিবসেও একখানি চিঠি পেয়েছেন? নাকি হালের পুরুষদের মতো চিঠি লেখার কথা ভুলেই বসেছেন মধ্যরাতে গালগল্পে ভেসে গিয়ে?

চিঠির কদর সুপ্রাচীন। আধুনিক বিশ্বে নতুন প্রজন্ম চিঠির মানে না বুঝলেও শতবর্ষ আগেই বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা ভাবে উদ্ভাসিত হয়েছিল চিঠির কদর। আব্রাহাম লিংকনের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে? ঘরে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোথাও কোথাও এখনো শোভা পায় আব্রাহাম লিংকনের লেখা তার সন্তানের শিক্ষকের প্রতি চিঠি। ‘Letter from Birmingham prison’ নামে পরিচিত মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের খোলা চিঠি কিংবা ইংরেজ লেখিকা ভার্জিনিয়া উলফ সুইসাইড নোট হিসেবেও লিখে যাওয়া চিঠি এখনো সমাদৃত সচেতন মানুষদের মননে। বাঙালি কবি, সাহিত্যিকও চিঠিকে রেখেছেন উচ্চাসনে। কবিতায়, গল্পে-গানে চিঠির মাহাত্ম্য ফুটে উঠেছে অনেক। আজ বিশ্ব চিঠি দিবস। চিঠি দিবসকে তুলে রাখুন ‘চিঠিদের’ জন্য।

চিঠি লিখুন মায়ের কাছে

মা পরম যত্নে গড়ে তোলেন সন্তানকে। খেয়ে-না খেয়ে, রোগে-শোকে ভুগেও সন্তানকে যত্নে-স্নেহে লালন করেন। মায়ের ত্যাগের প্রতিদান দিতে কোনো সন্তানই পারে না। কিন্তু ত্যাগের ফলস্বরূপ মায়ের প্রতি ভালোবাসা জিইয়ে রাখে সন্তানরা। সেই ভালোবাসা সন্তান খুব কমই প্রকাশ করে। কখনো প্রকাশ করার সুযোগ হয় না, কখনোবা প্রকাশ করতে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে। কখনো প্রকাশের ইচ্ছে জাগে না। তাই আজ ঝটপট সুদৃশ্য বাহারী খামে মায়ের হাতে পৌঁছে যাক ভালোবাসার চিঠি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মায়ের প্রতি লেখা চিঠির মতো বিশাল নয়, যাতে অন্তত স্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকুক ‘ভালোবাসি মা’।

করুণা করে হলেও চিঠি দিও

‘তোমার যত্নে গড়া আঙুলের ডগায় যে তুলিতে বেদনা আঁকো, সে তুলিতেই লিখো ভুল-অক্ষরের চিঠি’—এই যে সকাল-সন্ধ্যা বিরক্তিকর শহুরে ঝঞ্জাটে এপাশ থেকে ওপাশে কখনো রুঢ় শব্দের প্রেম, কখনো নীরবে নিসপিস করা ঠোঁটের ফিসফিস প্রেমের আদান-প্রদান করি, আমাদের অন্তরের যতটুকু রং সবই তো গেল ফিকে হয়ে। আজকের দিনে এই নিবেদন, করুণা করে কঠিন প্রেমের বদলে কুচকে যাওয়া কাগজে ভুল অক্ষরে হলেও পাঠাও এক টুকরো প্রেম। আর তোমার কপালের খসে পড়া একখানি টিপ এঁটে দিও পত্রের এক কোণে। সাদা কাগজে তোমার কুন্তলের সুবাস মেখে পাঠিয়ে দিও মায়ার খামে। নদীর নামে ডাকা প্রেমিকাদের নির্মল বয়ে চলার ফাঁকে কিছুক্ষণ নিশ্বাস পড়ুক প্রেমিকের ঠিকানায় পাঠানো কাগজের কালো অক্ষরের ভিড়ে, মায়া ঝরুক চিঠিতে।

আরও পড়ুন

না-বলা কথা টুকে দিন

কথা হলো পাখি, মন পাখির খাঁচা। দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনা একেক রকম পাখি; মানুষের মন নামের খাঁচায় বন্দি থাকে হরহামেশাই। একটি নির্জন দুপুরে পাখির ডাক শুনতে শুনতে বলবো কিংবা একটি চাঁদনি রাতে আসন পেতে মেঘের জলে চাঁদনিস্নান দেখতে দেখতে মন-খাঁচার কথা নামের পাখিগুলোকে ছেড়ে দেবো বলে বলে আর নির্জন দুপুর পাওয়া হয় না, জোছনা দেখতে বসা হয় না বাড়ির ছাদে। এমনই খাঁচাবন্দি কথাগুলো মুক্তি পাক চিঠি দিবসে। কথা নামের পাখিগুলো প্রাণ পাক কালো অক্ষরে অক্ষরে। লিখে ফেলুন একটি চিঠি কিংবা একটি হলুদ খামের চিরকুট। উড়িয়ে দিন।

উড়ো চিঠি
গানে কবিতায় উড়ো চিঠির বন্দনা আর কত? গানে গানে আকাশের ঠিকানায় চিঠি নয় আর। আপন মনের কথা অন্যকে শুনিয়ে যেমন মন হালকা হয়, তেমনই কাগজবন্দি কালো অক্ষরকে মুক্ত করে চিঠি বেনামি ঠিকানায় পোস্ট করে দিন এই চিঠি দিবসে। এতেও হালকা হবে মন। আকাশের প্রতি প্রেম, সাগর-সলিল কিংবা পাথারের তরে প্রেম উঠে যাক সাদা কাগজে কলমের ডগায়।

পত্রপ্রেম জুটুক
এ যুগের মৃণালিনী দেবীদের মন কাড়ার চেষ্টায় রবিঠাকুরের সুরেই একখানি পত্র পৌঁছে যাক ডাকে। ‘তোমার সন্ধ্যা বেলাকার মনের ভাবে আমার কি কোনো অধিকার নেই?’ বলে রবিঠাকুর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মৃণালিনী দেবীকে। কাজী নজরুল ইসলাম গেয়েছেন প্রেমের গান। ‘তোমার পত্র পেয়েছি সেদিন নববর্ষার নবঘন-সিক্ত প্রভাতে। মেঘ-মেদুর গগনে সেদিন অশান্ত ধারায় বারি ঝরছিল। পনের বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি বারিধারার প্লাবন নেমেছিল, তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো। আষাঢ়ের নব মেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার…’ এ যুগেও জীবন্ত সব মৃণালিনী দেবী আর নার্গিসরা ছুটে যাক ডাকঘরে। বুকপকেটে চেপে রাখুক হলুদ খামের চিঠি কিংবা রেগেমেগে খুলে বসুক চিঠির পাতা।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।