ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার অতিথিত্ব, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বঞ্চিত হয়ে ক্ষুব্ধ জনমত
বোয়ালমারীতে শতবর্ষী নৌকা বাইচে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রধান অতিথি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ

- আপডেট সময় : ০৭:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলায় প্রধান অতিথি করা হয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদারকে। আর বিশেষ অতিথি করা হয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক নেতাকে। তবে এ আয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিএনপি ঘরানার নেতাদের বাদ দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের তেলজুড়ি গ্রামে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এ নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো হয়েছে রঙিন পোস্টার। পোস্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক সভাপতি আজিজুল আকিল ডেভিড শিকদারের। বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছে খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তির নাম। তবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় না দেখিয়ে ব্যবসায়ী পরিচয় ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এই সাবেক ছাত্রনেতাকে প্রধান অতিথি করে তেলজুড়ির নৌকা বাইচ অনুষ্ঠানে মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ কারণে ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিরোধী দলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও আয়োজন সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। দাওয়াতও পাইনি। এটা খুবই দুঃখজনক। স্থানীয় জনগণকে বাদ দিয়ে তারা একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।”
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান মিয়া বকুল বলেন, “সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডেভিড শিকদার গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এখন তিনি টাকার জোরে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন।”
এদিকে আয়োজক কমিটির সভাপতি রইসুল ইসলাম পলাশ দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো নয় বরং এলাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের শতবর্ষী ঐতিহ্য। আগামী শুক্রবার নৌকা বাইচের পাশাপাশি মেলায় থাকবে ইলিশ মাছ, গ্যান্ডারি কুশর, আমিত্তি মিষ্টি, শিশুদের জন্য নানা আয়োজনসহ গ্রামীণ মেলার আকর্ষণ। সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে আয়োজন শেষ করতে চাই।”