চুরির ঘটনায় ফকিরের রুটি পড়া খাওয়ানো ব্যাবসয়ী অসুস্থ” ফকির গ্রেফতার-১

0
77

মো: সোহেল সিকদার, মাদারীপুর প্রতিনিধি।।

কালকিনিতে চুরির ঘটনায় কবিরাজের রুটিপড়া খেয়ে এক ব্যবসায়ী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভন্ড কবিরাজ ইস্রাফিল শেখ নামের ভন্ড কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার (১০সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার নিশ্চিতপুর এলাকার থেকে কবিরাজ ইস্রাফিল কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এবিষয়ে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম (১১ সেপ্টেম্বর) ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের একথা জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ইস্রাফিল শেখ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৃত্যু আব্দুল রাজ্জাক শেখের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরেই কবিরাজি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম জানান, গত ২৫ আগষ্ট রাতে কালকিনির রামচন্দ্রপুর বাজারের ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার ও মামুন শিকদারের দোকানে চুরি হয়।

এই ঘটনায় পাশের দোকানী জাহিদুল ইসলামকে দায়ী করা হয়। এতে তীব্র প্রতিবাদ জানান জাহিদুল ইসলাম। পরে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাজারের পাশে একটি মাদ্রাসা মাঠে আয়োজন করা হয় কবিরাজের রুটিপড়া খাওয়ানোর।এতে উপস্থিত সন্দেহভাজন অর্ধশত মানুষকে কথিত কবিরাজের দেয়া একটি করে রুটিপড়া খাওয়ান দুলাল হোসেন ও মামুন হোসেন।

ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামকে একে একে দুটি রুটি ও একটি ডিম খাওয়ানো হলে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে বলে জাহিদুল ইসলামের অভিযোগ স্বজনদের। পরে এই ঘটনায় কালকিনি থানায় জাহিদুলের পরিবার একটি অভিযোগ দায়ের করলে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ভন্ড কবিরাজ ইস্রাফিল শেখকে মুকসুদপুর থানার নিশ্চিতপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।

পরে গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজ ইস্রাফিলকে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

রুটিপড়া খাওয়ার ঘটনায় ভন্ড কবিরাজ ইস্রাফিল ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছিল, যা গোয়েন্দা পুলিশ কবিরাজের কাছ থেকে উদ্ধার করে তা জব্দ করে বলে সংবাদ সম্মেলন জানান পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম। ২০০৯ সালে পটুয়াখালীতে একই ধরনের প্রতারণা করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বাবার কাছে এ কবিরাজি শিখছে বলে জানান তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here