বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি-
বরিশালের বাকেরগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ ছিনতাই ও মলম পার্টির সদস্যরা।
ওই চক্রের সদস্যদের খপ্পরে পড়ে প্রায়ই সর্বস্ব হারাচ্ছেন নারীসহ সাধারণ মানুষ। বাদ যাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
সমন্বিত ব্যবস্থা না থাকায় এসব চক্র একেক সময় একেক এলাকায় মোক্ষম সুযোগ বুঝে মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। এসব ঘটনার অধিকাংশই আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা বাড়তি পুলিশি ঝামেলা মনে করে মামলা করতে রাজি হচ্ছে না। আবার পুলিশও এসব মামলা নিতে প্রায়ই অনীহা প্রকাশ করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ডাকবাংলো, সদর রোড, বাসস্ট্যান্ড, চৌমাথা, উপজেলা পরিষদ, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই ছিনতাই ও মলম পার্টির খপ্পরে সর্বস্ব হারাচ্ছে মানুষ।
গত এক সপ্তাহে দুইজন শিক্ষীকা মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে স্বর্ণালংকারসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সুত্রে জানা যায়, ৩০ আগস্ট হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়শা বেগম তাহার শিশুপুত্রকে বাকেরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পৌঁছে দিয়ে নিজ বিদ্যালয় যাওয়ার পথে একজন ব্যক্তি তাকে সালাম দেয়।
তিনি খেয়াল না করলে পিছন থেকে আরেকজন ব্যক্তি তিনি সালামের উত্তর কেন দিলেন না জানতে চেয়ে তাকে ওই ব্যক্তির নিকট নিয়ে তাকে খান জাহান আলীর ছোট পুত্র দাবী করে তাহার হাত স্পর্শ করে।
এতে তিনি কিছুক্ষণের জন্য নিজের খেয়াল হারিয়ে ফেলেন। এরপর তিনি তাহার গলার স্বর্ণের চেইন, হাতের বালা, কানের দুল ও বেচলেটসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিজেই খুলে তার হাতে দেয়। কিছুক্ষণ পর যখন তার হুস ফিরে আসে তখন তিনি আর তাদেরকে দেখতে না পেয়ে বাসায় গিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর একই ঘটনা ঘটে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা দেলোয়ারা বেগমের। তিনি বাসস্ট্যান্ড নিজের বাসা থেকে আউলিয়াপুর গ্রামে অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পথে মলম পাত্রীর খপ্পরে পড়ে স্বর্ণের গলার চেইন ও কানের দুলসহ ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল হারিয়েছেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম মাকসুদুর রহমান সাংবাদিকদেরকে বলেন, সারা উপজেলায় সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে ছিনতাইকারী ও মলম পার্টিসহ সব দুর্বৃত্তকে দমন করা হবে।
মলম পার্টির সদস্যদের দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে।নাগরিকদের স্বস্তি দিতে শীঘ্রই অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।