যে কারনে বাকেরগঞ্জে নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

0
1850

এস এম পলাশ।।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ১১ সদস্য। রোববার ওই অনাস্থা প্রস্তাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য মো. আতিকুর রহমান পিন্টু। অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন,বিষয়টি শুনেছি আমি বরিশালে মিটিংয়ে ছিলাম এখনো অনাস্থার কপি হাতে পাইনি, অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন সদস্য মো. বাবুল আকন, বাচ্চু মিয়া, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মো. মোস্তফা কামাল হাওলাদার, আবুল কালাম তালুকদার, মো. আতিকুর রহমান পিন্টু, খালেক বেপারী, আনোয়ার হোসেন, মো. শামীম আলম,মোসাম্মৎ আখি বেগম দুলু ও মোসা. বেবি বেগম।

মো. আতিকুর রহমান পিন্টু বিডি নিউজ পোষ্ট কে জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতির ১৫ টি অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইউপির ১২ জনের মধ্যে ১১ জন অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। একজন করেননি।

অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির তথ্য সেবা কেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১/১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান এর আপন শালা পাশের ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এবং তার মামা মামুনকে দিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্র পরিচালনা করেন।

নির্বাচনের পর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান’র দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের কোনো সদস্যদের সামনে খোলেন না। পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগদান নাজমুল আলমকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ট্যাক্সের রশিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিরে কাছে প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান নিজে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাজস্ব আয়ে না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

ট্রেড লাইসেন্স এর বই ইচ্ছে মতো ছাপিয়ে আত্মীয় স্বজন দিয়ে বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইন করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০/৩০০ করে নিয়েছেন। গত ১২ জুন বরাদ্দ ১ টন চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেছেন।

পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেয়। সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন করেন না, কাবিখা, কাবিটাসহ সরকারি কাজের নামে সদস্যদের প্রজেক্টের সিপিসি করে প্রাপ্ত বিল সিপিসিদের দিয়ে উত্তোলন করে চেয়ারম্যান নিজে কাজ করেন। জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগনকে হয়রানি করেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য গন।
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোন ষড়যন্ত্র করতে এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে গোপন সূত্রে জানা যায় এবিষয়ে ঐ চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দরবারে দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।  এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৌনো লবিং করে কাজ হবনা, আইন তার আপন গতিতে চলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here