নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ বরিশাল।
বরিশাল জেলার রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড হয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা পর্যন্ত মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার সড়কে সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর দেবে গিয়ে পাশে উঁচু হয়ে উঠেছে। মহাসড়কের মাঝেও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত ও মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় জনগণ ও পরিবহন শ্রমিকরা এটিকে ‘মহাসড়ক টিউমার’ বলছেন। তারা বড় দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশপথ বরিশাল – বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অংশের সড়কে অসংখ্য টিউমার দেখা দিয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের একাধিকস্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত থাকায় বৃষ্টির পানি জমে ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন ছোট-বড় অসংখ্য দূর্ঘটনার পাশাপাশি এ সড়কে বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগেই রয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে নামেমাত্র মহাসড়কের খানাখন্দ মেরামতের কাজ মাঝে মধ্যে করে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। ভূক্তভোগীরা দ্রুত সড়কের খানাখন্দের সংস্কারসহ টিউমার অপসারনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল রুপাতলী থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ ও পাথরে একাকার হয়ে সড়কের দুইপাশে উঁচু হয়ে জেগে উঠেছে টিউমার। একদিকে ছোট-বড় খানাখন্দ, অপরদিকে সড়কের পাশে জেগে ওঠা টিউমারে দিশেহারা হয়ে পরছেন ছোট-বড় যানবাহনের চালকরা। এমনকি অনেকস্থানেই সড়ক ভেঙে মহাসড়কের পূর্ব সীমানার বাহিরে চলে গেছে।
এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী যাত্রীবাহী বাস চাল আলমগীর হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধণের পর বরিশাল – বাকেরগঞ্জ মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেলেও সড়ক প্রশস্ত হয়নি। পূর্বের সড়কে এখন অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় দপদবিয়া জিরো পয়েন্ট, মহাসড়কের বুড়ির হাট, খেজুরতলা, আউলিয়াপুর সহ একাধিক স্থানে সড়কের বিভিন্নঅংশে টিউমার আর খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত যানবাহনগুলো দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, বরিশাল – বাকেরগঞ্জ মহাসড়কের বরিশাল এরিয়ার মধ্যে খেজুরতলা হতে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে কোন সমস্যা থাকলে সরেজমিনে গিয়ে দেখে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সংস্কার করা হবে। রুপাতলী থেকে খেজুরতলা পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলার আওতায় সেটা ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ দেখবেন।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, দপদবিয়া জিরো পয়েন্ট হতে ওই সড়কে যে সকল স্থানে বৃষ্টির পানি জমে গর্ত হয়েছে ও সড়ক দেবে গেছে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।