জিয়াউল হক, বাকেরগঞ্জ বরিশাল।।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানি পশু জবাই করার দা-ছুরি,বটি,চাপাতি তৈরিতে কামার পল্লীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কামাররা, এতে টাংটুং শব্দে মুখরিত বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের হাট বাজারের কামার পল্লী।
মুসলিম উম্মাহ’র ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা, এতে মহান রবের সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে আল্লাহ’র নামে হালাল পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন মুসলিম উম্মাহ। আর ওই কোরবানি পশু জবাই করার জন্যে লোহা দারা বিভিন্ন দা, ছুরি,বটি,চাপাতিসহ নানা যন্ত্রপাতি তৈরিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কামার পল্লীতে রাত দিন কর্মব্যস্ততায় সময় পার করছে কামাররা।
২৫ জুন (রবিবার) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কামার পল্লীতে কোরবানি পশু জবাই করার কাজে ব্যবহারের জন্য দা,ছুরি তৈরিতে কামারিরা ব্যস্ত সময় পার করার দৃশ্য। কামারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি হওয়াতে অন্যান্য বছরের তুলনায় পশু জবাই কাজে ব্যবহারের দা, ছুরি,বটি,চাপাতিসহ লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করতে খরচ বেশি হচ্ছে। বেচাকেনা তেমন না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমরা যন্ত্রপাতি তৈরিতে রাতদিন ব্যাস্ত সময় পার করছি।
এখন তৈরিতে খরচ বেড়ে যাওয়াতে ক্রেতাদের কাছ থেকে ১টি ছোট-মাঝারি ছুরির দাম নিতে হচ্ছে কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ১টি বটির দাম ৪/৫ শত টাকা,চাপাতির দাম ৮’শ থেকে ১ হাজার টাকা।এছাড়াও ১ কাচি শান করাতে ২০ টাকা,বটি,দা ও ছুরিতে ৬০/৭০ টাকা এবং চাপাতি শ্যান দিলে ১০০ টাকা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে।
বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার চৌমাথা কামার নেপাল কর্মকার জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কামার পল্লিতে কাজ করে যাচ্ছি, প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামার পল্লিতে কাজের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আগের চেয়ে লোহা এবং কয়লার দাম বেশি, এক বস্তা কয়লা কিনতে হয় ৩ হাজার টাকায়। যার ফলে দা,ছুরি,বটি ও চাপাতিসহ লোহার যন্ত্রপাতি তৈরিতে খরচও বাড়ছে। বেচাকেনা এখনো পর্যন্ত তেমন হয়নি, ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকী। হয়তো ঈদের আগমুহূর্তে আমাদের আশানুরূপ বেচাকেনা হবে,এই আশায় আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।