বান্দরবানের লামা উপজেলার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে। তিনি ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে শিক্ষকতা করবেন। এই অর্জনের মধ্য দিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
শরিফুল ইসলাম ২০০৩ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ভর্তি হন কোয়ান্টাম শিশুকাননে। ২০১৩ সালে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে অনার্সে বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস থার্ড এবং মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন।
স্কুলজীবনে শরিফুল কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের খো খো দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে তার দল প্রথমবারের মতো অর্জন করে জাতীয় পদক। সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি কোয়ান্টামে থেকেই নেতৃত্ব, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শরিফুল লিখেছেন খেলাধুলা বিষয়ক একাধিক বই। তার রচিত ‘খো খো খেলার আদ্যোপান্ত’ (২০২১) বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা বই, যেখানে খেলার আধুনিক নিয়মকানুন তুলে ধরা হয়েছে। এরপর প্রকাশ করেন ‘ওয়ার্ম আপ স্ট্রেচিং ও কুল ডাউন’ (২০২৩), ‘পিটি ও ড্রিল’ (২০২৪), এবং ‘প্যারেড’ (২০২৫)।
তাছাড়া তিনি সম্পাদনা করেছেন ‘অদম্য’ ও ‘সব সম্ভব’ বই দুটি এবং আন্তর্জাতিক সাময়িকী জার্নাল অব বায়োমেড রিসার্চ-এ তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার পাশাপাশি সেবামূলক কাজেও যুক্ত ছিলেন শরিফুল ইসলাম। করোনাকালে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা দাফন টিমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত সব সম্ভব বইয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শরিফুল লিখেছেন—
> “কোয়ান্টাম আমাকে শিখিয়েছে, সব সম্ভব। এখানেই আমি পেয়েছি জীবনের শুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি।”
বর্তমানে প্রিয় শিক্ষাঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি নতুন মাইলফলক রচনা করেছেন। তার এই সাফল্য কোয়ান্টাম পরিবারের গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জয়নাল আবেদিন
নিউজ রুমঃ news@bdnewspost.com
কপিরাইট স্বত্ব © bdnewspost.com