দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ওষুধ ক্রয়ে কোটি টাকার অনিয়মের প্রমাণ, কেন্দ্রীয় তদন্তের আবেদন প্রস্তুত
কুমেক হাসপাতালে ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়ম: দুর্নীতির অনুসন্ধান চায় দুদক

- আপডেট সময় : ০৮:১৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ওষুধ কেনাকাটায় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান।
রবিবার (৫ অক্টোবর) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান ও অনুসন্ধান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের একটি দল সকালে হাসপাতালের মেডিসিন স্টোর রুম ও পরিচালকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় তারা ঔষধ মজুদের নথিপত্র, ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, “তিনটি ওষুধ কেনাকাটায় কার্যাদেশ ও ক্রয় সংক্রান্ত নথি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন করা হবে।”
সম্প্রতি পেনথোটাল সোডিয়াম ইনজেকশন ক্রয়ে বড় ধরনের মূল্য বৈষম্যের তথ্য উঠে আসে—যেখানে ১০১ টাকার ইনজেকশন কেনা হয় ১,২৯৯ টাকায়।
এই ঘটনায় কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ, কুমিল্লা মহানগর ড্যাব সভাপতি এম এম হাসান এবং হাসপাতালের প্রধান সরকারি কর্মকর্তা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
সামাজিক সংগঠনগুলো এই অনিয়মে জড়িতদের অপসারণের দাবি জানায়। বিষয়টি আলোচনায় আসার পর কেন্দ্রীয় ড্যাব (ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ শাখার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।
—