মাউশির নির্দেশের পরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনার ঝড় স্থানীয় মহলে
কোটালীপাড়ায় আর্থিক অনিয়মে প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সভাপতির গড়িমসি নিয়ে ক্ষোভ

- আপডেট সময় : ০৬:১৪:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে

কোটালিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে গত ২০ আগস্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় সাহাকে আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র পাঠিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরী PBGSI স্কিমের আওতায় বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের অর্থ ৭ মাসেরও বেশি সময় হাতে রেখে আর্থিক অনিয়ম করেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মাউশি ও স্থানীয় মহলে এ বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান তালুকদার চঞ্চলের অভিযোগের পর মাউশি থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে তদন্তে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।
এরপর মাউশি এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর উপানুচ্ছেদ ১৮.১(খ) অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন বারুরীর তিন মাসের এমপিও বেতন-ভাতা বন্ধ রাখে।
অভিযোগকারীরা জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন, টিনশেড ঘর, গাছপালা এবং মসজিদ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে কমিশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের গাইড বই সরবরাহ করতেন এবং পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সুজয় সাহা বলেন, “মাউশি থেকে আমরা পত্র পেয়েছি। বিদ্যালয় বর্তমানে সরকারি ছুটিতে বন্ধ রয়েছে। স্কুল খোলার পর ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।”
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, “নিহার রঞ্জন বারুরী একজন অযোগ্য শিক্ষক। তিনি আগে কৃষি শিক্ষক ছিলেন, এখন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে থেকে শিক্ষার মান নষ্ট করছেন। তার অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।”
এ ঘটনায় শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন স্পষ্ট আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।