প্রবল স্রোতের টানে নিখোঁজ সোহানের মরদেহ ৪০ ফুট পানির নিচে থেকে উদ্ধার
বান্দরবানের মাতামুহুরী নদীতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু, ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার লাশ

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানের লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া মো. সোহান (২৭) নামে এক পর্যটকের লাশ নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলের প্রায় ৪০ ফুট গভীর পানির নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহান ঢাকার মিরপুর ইউসিবি চত্বর এলাকার বাসিন্দা আবু হান্নান সরকারের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ:
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মো. সোহান ও তাঁর বন্ধু মো. শাকিল ঢাকা থেকে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মিনঝিরি সাদা পাথর এলাকার হোয়াইট পিক স্টেশন রিসোর্টে অবস্থান নেন। দুপুর দেড়টার দিকে তারা রিসোর্ট সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নামেন।
প্রবল স্রোতের কারণে শাকিল তীরে উঠতে পারলেও সোহান নদীতে তলিয়ে যান এবং নিখোঁজ হন। পরে খবর পেয়ে লামা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ২২ ঘণ্টা পর নদীর প্রায় ৪০ ফুট গভীর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
উপস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া:
লাশ উদ্ধারের সময় লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন, নিহতের স্বজন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পর্যটন মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লামা স্টেশনের সাব-অফিসার মো. আব্দুল্লাহ বলেন,
“শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের মতামত:
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন,
“মাতামুহুরী নদীর পানির স্রোত সবসময়ই প্রবল থাকে। সতর্কতা ছাড়া নামলে দুর্ঘটনা ঘটবেই।”
পর্যটক গাইড সুমন চাকমা বলেন,
“পর্যটন এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ও সতর্কীকরণ বোর্ড বসানো না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
একজন স্থানীয় নারী বাসিন্দা বলেন,
> “প্রতিবার দুর্ঘটনার পর আলোচনা হয়, কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয় না। এবার যেন সেই ভুল না হয়।”
পর্যটন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন:
স্থানীয়রা জানান, মাতামুহুরী নদী একটি স্রোতস্বিনী ও বিপজ্জনক নদী। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারা পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, গাইড ও লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।