চিলমারীতে দারিদ্র্যমুক্ত সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার প্রতারণা, অসহায় মানুষের চোখে জল!
কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যমুক্ত সমবায় সমিতির নামে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুক্তভোগীদের কান্না-আর্তনাদ

- আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ৯১ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | ৫ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ‘দারিদ্র্যমুক্ত বহুমুখী সমবায় সমিতি’-র নামে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সহস্রাধিক সদস্যদের কাছ থেকে উচ্চ লভ্যাংশের প্রলোভন দেখিয়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করে বলে জানা গেছে।
প্রতারিত ষাটোর্ধ্ব ছকিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
> “বাবা মুই ভিক্ষা করি খাং, মাটি কাটার কাম করি, সারা জীবনের জমা সাড়ে ৬ লাখ টেকা থুইছিলাম সমিতিতে। এখন শুনছি টেকা নাই! মুই তো পাগল হয়া যাম!”
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০০৭ সালের জুনে প্রতিষ্ঠিত এই সমিতি শুরুতে উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন পায়। কিন্তু পরবর্তীতে উচ্চ হারে মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৩ হাজার সদস্যের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় সমিতির কয়েকজন কর্মকর্তা।
বর্তমানে সমিতির কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। টাকা ফেরত চাইলে কর্মকর্তারা টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে ক্ষুব্ধ সদস্যরা জোড়গাছ নতুন বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগী রিপন মিয়া জানান, তিনি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন। জয়ন্ত রায় ১ লাখ ২২ হাজার, এরশাদুল হক ৮০ হাজার, সুফিয়া বেওয়া ১ লাখ ২৮ হাজার, জেলেখা বেওয়া ১ লাখ ৪৮ হাজার, কসভান বেওয়া ৬০ হাজার, মিম আক্তার ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিয়েও এখনো ফেরত পাননি।
সমিতির সম্পাদক নুর আলম বলেন,
> “পরিচালক আনিসুর রহমান আনিস ও মিল্টন মিয়া ১৭ কর্মচারীর টাকা উত্তোলনের কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। তাই আমরা এখন হিসাব দিতে পারছি না। তবে কিছু জমি বিক্রি করে কিছু সদস্যকে টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা চলছে।”
অভিযুক্ত পরিচালক আনিসুর রহমান আনিস-এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও প্রতারিতদের অর্থ ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।