ঢাকা ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিঃ
দৈনিক bdnewspost.com  নিউজ পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান দেশের প্রথম সারির অনলাইন পোর্টাল পত্রিকার জন্য সংবাদদাতা আবশ্যক, বিশেষ সংবাদদাতা (৪),  ক্রাইম রিপোর্টার (৫), স্টাফ রিপোর্টার (১০), বিভাগীয় ব্যুরো (৬) উপজেলা প্রতিনিধি (১০), বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি (৫),  মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার (সকল জেলা ও উপজেলার জন্য) (১০) ইউনিয়ন প্রতিনিধি (৫)  আবেদনের জন্য সিভি, জাতীয় পরিচয় পত্র, আবেদন পাঠাবেন news@bdnewspost.comএই মেইলে।
সংবাদ শিরোনামঃ
বাংলাদেশের নির্বাচনে স্বীকৃতির কথা বলে, ভারতের লজ্জাও করে না: মাহমুদুর রহমান কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ আটক, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে কুমিল্লা দাউদকান্দির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ঝালকাঠিতে সাকুরা পরিবহন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দগ্ধসহ আহত ৫ আশাশুনির কুল্যার দাঁড়ার খাল উন্মুক্ত রাখার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন পটিয়ায় ধরা পড়া বিশাল অজগর সাপ এখন বন বিভাগের হেফাজতে কালিয়াকৈরে নৌকা ডুবিতে নিহত পরিবারের হাতে চেক প্রদান করলেন ইউএনও কাউসার আহামেদ শ্রীপুরে ‘গরিবের ডাক্তার’ মোতাছিম বিল্লাহর মানবিক উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শ্রীপুরে পৌর বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অভিযান জোরদার — রাজাপুর মৎস্য দপ্তরের কঠোর তদারকি শুরু

রাজাপুর ও নলছিটিতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু: মৎস্য দপ্তরের আহ্বান সবার সহযোগিতায়

মাহবুব হাসান, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝালকাঠি 
ঝালকাঠির রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলায় শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে মা ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪.৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। নদীর একপাশে রাজাপুর এবং অপরপাশে রয়েছে নলছিটি, বাকেরগঞ্জ, বেতাগী ও কাঠালিয়া উপজেলার অংশ। এসব এলাকার মধ্যে চানপুরা, ভবানিপুর, নলবুনিয়া, হদুয়া, গজালিয়া, নিয়ামতি ও জাংগালিয়া অঞ্চলগুলোকে অতিসংবেদনশীল ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব এলাকার অনেকাংশ অন্য উপজেলার আওতাধীন হলেও প্রশাসনিকভাবে সেখানে কার্যকর মনিটরিং পাওয়া যায় না। ফলে মা ইলিশ রক্ষায় রাজাপুর দপ্তরের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

তবে এ বছর স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইকিং, ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ফলে রাজাপুরের বেশিরভাগ জেলে এখন আইন মেনে নদীতে নামছেন না।

তবে আশপাশের উপজেলার জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে নামলে রাজাপুরের স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল বলেন,

“স্বল্প জনবল ও সীমিত আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এ কাজে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন,

“মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ থাকলে দ্রুত জানানোর অনুরোধ করছি।”

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য চাল ও আর্থিক সহায়তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অভিযান জোরদার — রাজাপুর মৎস্য দপ্তরের কঠোর তদারকি শুরু

রাজাপুর ও নলছিটিতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু: মৎস্য দপ্তরের আহ্বান সবার সহযোগিতায়

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার,ঝালকাঠি 
ঝালকাঠির রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলায় শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে মা ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪.৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। নদীর একপাশে রাজাপুর এবং অপরপাশে রয়েছে নলছিটি, বাকেরগঞ্জ, বেতাগী ও কাঠালিয়া উপজেলার অংশ। এসব এলাকার মধ্যে চানপুরা, ভবানিপুর, নলবুনিয়া, হদুয়া, গজালিয়া, নিয়ামতি ও জাংগালিয়া অঞ্চলগুলোকে অতিসংবেদনশীল ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব এলাকার অনেকাংশ অন্য উপজেলার আওতাধীন হলেও প্রশাসনিকভাবে সেখানে কার্যকর মনিটরিং পাওয়া যায় না। ফলে মা ইলিশ রক্ষায় রাজাপুর দপ্তরের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।

তবে এ বছর স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইকিং, ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ফলে রাজাপুরের বেশিরভাগ জেলে এখন আইন মেনে নদীতে নামছেন না।

তবে আশপাশের উপজেলার জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে নামলে রাজাপুরের স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল বলেন,

“স্বল্প জনবল ও সীমিত আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এ কাজে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন,

“মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ থাকলে দ্রুত জানানোর অনুরোধ করছি।”

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য চাল ও আর্থিক সহায়তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।