ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অভিযান জোরদার — রাজাপুর মৎস্য দপ্তরের কঠোর তদারকি শুরু
রাজাপুর ও নলছিটিতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু: মৎস্য দপ্তরের আহ্বান সবার সহযোগিতায়

- আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার,ঝালকাঠি
ঝালকাঠির রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলায় শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ২০২৫। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে মা ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪.৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। নদীর একপাশে রাজাপুর এবং অপরপাশে রয়েছে নলছিটি, বাকেরগঞ্জ, বেতাগী ও কাঠালিয়া উপজেলার অংশ। এসব এলাকার মধ্যে চানপুরা, ভবানিপুর, নলবুনিয়া, হদুয়া, গজালিয়া, নিয়ামতি ও জাংগালিয়া অঞ্চলগুলোকে অতিসংবেদনশীল ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব এলাকার অনেকাংশ অন্য উপজেলার আওতাধীন হলেও প্রশাসনিকভাবে সেখানে কার্যকর মনিটরিং পাওয়া যায় না। ফলে মা ইলিশ রক্ষায় রাজাপুর দপ্তরের প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
তবে এ বছর স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মাইকিং, ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ফলে রাজাপুরের বেশিরভাগ জেলে এখন আইন মেনে নদীতে নামছেন না।
তবে আশপাশের উপজেলার জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে নামলে রাজাপুরের স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল বলেন,
“স্বল্প জনবল ও সীমিত আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও মা ইলিশ রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এ কাজে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন,
“মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। কোনো অনিয়ম বা অভিযোগ থাকলে দ্রুত জানানোর অনুরোধ করছি।”
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য চাল ও আর্থিক সহায়তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।