মৌজা ১০১১ নং দাগে জমি-দখল নিয়ে অভিযোগ — প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও দলিল যাচাই দাবি
সেনবাগে জমি-ভাগবন্ড নিয়ে তীব্র বিবাদ: নোয়াখালী মইজীপুরে এনামূল হকের সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০২:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী সংবাদদাতা।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৬ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মইজীপুর গ্রামে দীর্ঘকাল ধরে চলমান জমি বিরোধ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষক ও ভোগদার এনামূল হক (৬২) আজ ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন যে, প্রতিবেশী আবদুল মান্নান (৬৩) তার বিরুদ্ধে গাঞ্জনভিত্তিক জালিয়াতি খতিয়ান তৈরি করে ০২ শতাংশ জমি বিক্রির চেষ্টায় রয়েছেন এবং গত ৩ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৭টায় দোকানের সামনে তার সঙ্গে তর্কাতর্কির সময় অশোভন আচরণ ও হুমকি-ধামকি দেয়া হয়েছে।
এনামূল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের পরিবারের পৈতৃক মালিকানাধীন দাগ নং ১০১১ — যেখানে পূর্বে ৬ শতাংশ, ৪ শতাংশ ও ৩২ শতাংশ অংশের উল্লেখ রয়েছে — এর মধ্যে গত দুই বছর ধরে তিনি ও তার ভাই আতিক ১৬ শতাংশ জমি শান্তিপূর্ণভাবে দখলে রাখছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিবাদী মান্নান দাবি করছেন যে, ২ শতাংশ জমি তার। এনাম বৃদ্ধ আরও বলেন, “বিবাদী কোন বৈধ দলিল দেখাতে পারেনি; উল্টো দলিলপ্রদর্শন চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারায় তেড়ে এসেছে। কয়েকদিন আগে তিনি গোপনে ভূয়া খতিয়ান তৈরি করে অন্যত্র বিক্রির বায়না চুক্তি করেছিল— এলাকাবাসী সেটি শুনিয়েছে।”
এ দিকে অভিযুক্ত আবদুল মান্নান সংবাদকর্তাদের বলেন, এনামূল হক তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে; তার কাছে সব কাগজপত্র রয়েছে এবং তিনি যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মান্নান দাবি করেন, গ্রামের বৈঠকে এনামের কাছে কোন দলিল ছিল না বলে স্থানীয় বিচারকরা বিরক্ত হয়ে চলে যান।
স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে; এনাম ও তার পরিবার প্রশাসন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় ন্যায্য বিচার দাবি করেছেন। এনামূল হক আদালত ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার কামনা করেছেন; অপরদিকে বিবাদী পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি মামলা করবেন।
এনামূল ও এলাকাবাসী প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করে মামলা গ্রহণ ও মুল খতিয়ান যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সম্পত্তি বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা যায়।