অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর সুন্দরগঞ্জে ১১ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত
সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক: ১১ জন আক্রান্ত, ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি

- আপডেট সময় : ০৮:২২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা,সুন্দরগঞ্জ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
রোগাক্রান্ত গরু জবাই ও মাংস কাটাকাটি করার পর একই গ্রামের অন্তত ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাফিজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত সোমবার গ্রামবাসী একটি অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করেন। পরবর্তীতে চারদিনের মাথায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ফোসকা, মাংসে পচন, হাত, মুখ, চোখে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়।
আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমান বেশি অসুস্থ হয়ে বর্তমানে গাইবান্ধা রাবেয়া ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাশের পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এখন তার প্রভাব সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঘাঘট ও তিস্তা নদীবেষ্টিত বেলকা, তারাপুর, সর্বানন্দ, বামনডাঙ্গা ও পৌরসভা এলাকায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোজাম্মেল হক জানান, “পৌরসভায় দুটি গরু অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে। ইতোমধ্যে সাহাবাজ এলাকায় টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে ১৩ হাজার টিকা রয়েছে এবং আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে মানুষ আক্রান্ত হয় না, তবে জবাই বা পরিচর্যার সময় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তাই রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল কোনো অবস্থায়ই জবাই করা যাবে না।”
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলেও দ্রুত টিকা কার্যক্রম চালু হওয়ায় সংক্রমণ রোধে প্রশাসন আশাবাদী।