কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ১৫টি পরামর্শ
কক্সবাজার ভ্রমণ নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ পরামর্শ

- আপডেট সময় : ১২:১৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫ ২২১ বার পড়া হয়েছে

নাসরিন আক্তার, চট্টগ্রাম।
কক্সবাজার ভ্রমণে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদের নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশ কিছু বিশেষ পরামর্শ প্রদান করেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. বাস থেকে নামার পর ভাড়া ঠিক করে অটোতে উঠা
এতে পর্যটকরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হবেন না এবং প্রতারণা থেকে বাঁচবেন।
২. আগেই হোটেল বুকিং করা
ভিড়ের সময় বা মৌসুমে হোটেল সংকট হয়। আগে থেকে বুকিং করলে হয়রানি ও অতিরিক্ত খরচ এড়ানো যায়।
৩. হোটেলে উঠার সময় এনআইডি/জন্ম নিবন্ধন দেওয়া
নিরাপত্তার জন্য খুব জরুরি। এতে ভুয়া তথ্য ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করা সহজ হয়।
৪. বিচে নামার সময় মূল্যবান জিনিস হোটেলে রাখা
চুরি বা হারানো রোধ হয়। মোবাইল, মানিব্যাগ, গহনা নিরাপদ থাকে।
৫. ম্যাসেজ বয় দিয়ে ম্যাসেজ না করানো
অনেক সময় এরা চুরির সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
৬. ভিক্ষুক বা তৃতীয় লিঙ্গের লোক দেখলে পুলিশকে জানানো
অনেক সময় তারা জোরপূর্বক অর্থ আদায় করে। এজন্য পর্যটকদের হয়রানি কমাতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
৭. ভ্রাম্যমাণ হকার থেকে কেনাকাটা না করা
তারা অযৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রি করে। ট্যুরিস্ট পুলিশ শিগগিরই সৈকত হকারমুক্ত করবে।
৮. ফটোগ্রাফার নিয়োগের আগে দরদাম ঠিক করা
অনেক ফটোগ্রাফার ছবি তুলে পরে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে। আগেই দরদাম করলে প্রতারণা এড়ানো যায়।
৯. বিচ বাইক ও ওয়াটার বাইকে ওঠার আগে রেট যাচাই করা
নির্দিষ্ট ভাড়া আছে। যাচাই না করলে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হতে পারে।
১০. পানিতে নামার সময় লাইফগার্ড থাকা এলাকায় নামা
দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হয়। জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১১. হয়রানি হলে ট্যুরিস্ট পুলিশের সাহায্য নেওয়া
পর্যটকদের ঝামেলা থেকে বাঁচাতে ২৪/৭ পুলিশ প্রস্তুত।
১২. হোটেলে খাবার খাওয়ার আগে মূল্য তালিকা দেখা
অতিরিক্ত বিল এড়ানো যায়। স্বচ্ছ মূল্য নিশ্চিত হয়।
১৩. খোলা বা অপরিস্কার স্ট্রিট ফুড না খাওয়া
এতে খাবার বিষক্রিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। সুস্থ ভ্রমণের জন্য এড়িয়ে চলা জরুরি।
১৪. সন্ধ্যার পর ঝাউবন বা অন্ধকার জায়গা এড়িয়ে চলা
অপরাধীদের টার্গেটে পড়া এড়ানো যায়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
১৫. যে কোনো প্রয়োজনে ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা
এই ১৫টি পরামর্শের মূল উদ্দেশ্য হলো —
১.প্রতারণা থেকে সুরক্ষা
২. চুরি ও হয়রানি কমানো
৩. খাবার ও হোটেল ভাড়া নিয়ন্ত্রণ
৪. সমুদ্রসৈকতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
৫. পর্যটকদের আস্থা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করা
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন ২৪ ঘণ্টা ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা ও সেবায় কাজ করছে। ভ্রমণকারীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।