আইফোন হারানো না গণধর্ষণ? ভুক্তভোগীর ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে বিভ্রান্ত জনমত
শ্রীপুরে রিসোর্টে ধর্ষণ মামলার অভিযোগে ভিন্ন তথ্য: আইফোন প্রসঙ্গে রহস্য ঘিরে প্রশ্ন

- আপডেট সময় : ০৮:০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

মো: জুয়েল রানা, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি রিসোর্টে এক মডেল-অভিনেত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশের তদন্তে ও ভুক্তভোগীর বক্তব্যে একাধিক গড়মিল পাওয়ায় পুরো ঘটনাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। স্থানীয়দের মতে, মামলার নেপথ্যে উঠে আসছে ‘আইফোন লেনদেনের প্রসঙ্গ’।
শনিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার রাস রিসোর্টে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নাট্যনির্মাতা নাসির উদ্দিন, বাবর ও এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে।
অভিযোগে ওই নারী জানান, ঢাকার বাসা থেকে পরিচালক নাসির উদ্দিনের সঙ্গে গাড়িতে করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে শ্রীপুরের রিসোর্টে যান। সেখানে কিছু মানুষকে মদ্যপানরত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর রুমে গিয়ে কাপড় পরিবর্তনের পর নাসির, বাবর ও অপরিচিত এক ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।
তবে অন্য এক সাক্ষ্যে ওই নারী দাবি করেন, “আমার কষ্ট হয়নি শারীরিক নির্যাতনে, বরং কষ্ট হয়েছে আইফোন নিয়ে গেছে বলে।” এমনকি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি ৬০ ও ৭০ বছর বয়সী দুই বৃদ্ধকেও ধর্ষণের অভিযোগে জড়িয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে থানায় এসে ভুক্তভোগী মূলত আইফোন হারানোর অভিযোগ করেন। শ্রীপুর থানার এসআই জানান, “গণধর্ষণের ঘটনার চেয়ে আইফোন হারানো নিয়েই তিনি বেশি জোর দিয়েছেন।”
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রাত ৩টার দিকে কেন তিনি ঢাকা থেকে শ্রীপুরের রিসোর্টে গেলেন? স্থানীয়দের মতে, আসল ঘটনা সম্ভবত ‘লেনদেনের বনিবনা না হওয়া’।
শ্রীপুর থানার ওসি আব্দুল বারিক জানান, আইন অনুযায়ী অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, “ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আদালতে বিচার হবে।”