দুদকের হাতে আটক আরামিট পিএলসির এজিএম, সাইফুজ্জামানের বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ আলোচনায়
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের চেক দিয়ে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলন, দুদকের হাতে এজিএম আটক

- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বিদেশে পলাতক সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামে ইস্যু করা ১১টি চেক ব্যবহার করে চারটি ব্যাংক থেকে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আটক জাহাঙ্গীর আলম আরামিট পিএলসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম)। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মোকাররম হোসেন জানান, জাহাঙ্গীর আলমকে সাইফুজ্জামানের স্বাক্ষরিত মূল চেকসহ আটক করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মালিকের অনুপস্থিতিতে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ, সোনালী ব্যাংক থেকে ৩৬ লাখ এবং মেঘনা ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তোলা হয়েছে। আটক জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আরামিট পিএলসির দুই এজিএম মো. আবদুল আজিজ ও উৎপল পালের আইনি খরচ বহনের জন্য টাকা তোলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে সাইফুজ্জামান, তাঁর স্ত্রী রুকমীলা জামান, পরিবারের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের মামলা দায়ের করে। তদন্তে দুদক জানতে পারে, ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করে বিদেশে পাচার করা হয়।
দুদকের কর্মকর্তাদের দাবি, এই অর্থপাচার ২০১৯-২০ সালে সংঘটিত হয়। তখন জাবেদ ভূমিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে দুদকের তথ্যমতে, সাইফুজ্জামান জাবেদ ও তাঁর পরিবারের যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, দুবাইতে ২২৮টি, যুক্তরাষ্ট্রে ১০টি বাড়ি এবং আরও কয়েকটি দেশে বিপুল সম্পদ রয়েছে।
দুদক মনে করছে, নতুন করে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা উত্তোলনের সঙ্গেও আত্মসাৎ ও পাচারের সরাসরি যোগসূত্র আছে।