ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Workplace Activity Round 2025 bdnewspost.com মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Process round 2025 bdnewspost.com রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Activity Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি bdnewspost.com বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর নিয়োগ Police Particular Department Task Round 2025 bdnewspost.com গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মডেল ইউনাইটেড নেশনস- এর সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত bdnewspost.com কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে কিছু তথ্য bdnewspost.com ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে উদযাপিত হল ‘কমনওয়েলথ স্কলার্স ওয়েলকাম হোম’ bdnewspost.com হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ Habiganj DC Place of work Activity 2025 bdnewspost.com জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DPHE Process round 2025 bdnewspost.com

হাইমচরে ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে


চাঁদপুর: টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রায় ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিন ও রাতে বরজ থেকে পানি নিষ্কাশন করেও কিনারা করতে পারছেন না কৃষকরা।

কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গড়া পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে তাদের। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পান চাষে জড়িত শত শত মালিক ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন। কৃষি বিভাগ বলছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে পানের বরজের জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে। সেচ প্রকল্প হওয়ার কারণে খুব দ্রুত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে পানি আবার বেড়ে যায়।

উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের পানচাষি আবু তাহের জানান, তিনি এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে পানের বরজ করেছেন। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দুটি পানের বরজ। এখন শ্রমিক নিয়ে পানি নিষ্কাশন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। পানের বরজের ভবিষ্যৎ কি হবে তাও বলতে পারছি না।

একই গ্রামের হেনা আক্তার বলেন, ছয় মাস আগে আড়াই লাখ টাকা ঋণ করে ১০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ করেছি। পুরো পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে।  

পানচাষি সফিকুর রহমান বলেন, পান ও সুপারির আবাদ আমাদের উপজেলার ঐতিহ্য। আমার এক জমিতে পানের বরজ ছিল। তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই বরজ তলিয়ে গেছে। এখন আমি কি করব জানি না। উপজেলার প্রায় ৭০০ কৃষকের এমন পরিস্থিতি হয়েছে।

উত্তর আলগী ইউনিয়নের পানচাষি শাহজাহান ও শহীদুল্লাহ ঠাহরদার বলেন, আমরা কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পানের বরজ করেছি। বৃষ্টিতে আমাদের বরজ শেষ। পান গাছের গোড়া পচে গেছে। পানি গেলেও আর পান গাছ বাঁচবে না। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব, বলতে পারছি না। উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও কেউ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না।

এদিকে পানের বরজগুলোতে পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে অপরিপক্ক পান বরজ থেকে কাটা হচ্ছে। এসব পান বিক্রির জন্য সাজানো হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও দোকানের সামনে।

আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পান ব্যপারী কাদের গাজী বলেন, পান নির্দিষ্ট সময়ে বড় হলে বিক্রি করেন চাষিরা। কিন্তু দুর্যোগ মুহূর্তে এখন কিছুই করার নেই। বরজ থেকে কচি পানই কেটে কোনো রকম বিক্রির জন্য বিড়া (গুচ্ছ) সাজানো হচ্ছে। তা না করলে জমিতে পচবে এসব পান। পান বড় হলে প্রতি বিড়া বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সাইজে ছোট হওয়ায় এখন প্রতি বিড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, উপজেলার ১১৯ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছে এক হাজার ৭২ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। কৃষকদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ সঠিক না। প্রণোদনা এলে কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাইমচরে ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজ

আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪


চাঁদপুর: টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার প্রায় ১০০ হেক্টর জমির পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দিন ও রাতে বরজ থেকে পানি নিষ্কাশন করেও কিনারা করতে পারছেন না কৃষকরা।

কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে গড়া পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে তাদের। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পান চাষে জড়িত শত শত মালিক ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন। কৃষি বিভাগ বলছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে পানের বরজের জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে। সেচ প্রকল্প হওয়ার কারণে খুব দ্রুত পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে পানি আবার বেড়ে যায়।

উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের পানচাষি আবু তাহের জানান, তিনি এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে পানের বরজ করেছেন। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দুটি পানের বরজ। এখন শ্রমিক নিয়ে পানি নিষ্কাশন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। পানের বরজের ভবিষ্যৎ কি হবে তাও বলতে পারছি না।

একই গ্রামের হেনা আক্তার বলেন, ছয় মাস আগে আড়াই লাখ টাকা ঋণ করে ১০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ করেছি। পুরো পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে।  

পানচাষি সফিকুর রহমান বলেন, পান ও সুপারির আবাদ আমাদের উপজেলার ঐতিহ্য। আমার এক জমিতে পানের বরজ ছিল। তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই বরজ তলিয়ে গেছে। এখন আমি কি করব জানি না। উপজেলার প্রায় ৭০০ কৃষকের এমন পরিস্থিতি হয়েছে।

উত্তর আলগী ইউনিয়নের পানচাষি শাহজাহান ও শহীদুল্লাহ ঠাহরদার বলেন, আমরা কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পানের বরজ করেছি। বৃষ্টিতে আমাদের বরজ শেষ। পান গাছের গোড়া পচে গেছে। পানি গেলেও আর পান গাছ বাঁচবে না। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব, বলতে পারছি না। উপজেলা কৃষি অফিস থেকেও কেউ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না।

এদিকে পানের বরজগুলোতে পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে অপরিপক্ক পান বরজ থেকে কাটা হচ্ছে। এসব পান বিক্রির জন্য সাজানো হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও দোকানের সামনে।

আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পান ব্যপারী কাদের গাজী বলেন, পান নির্দিষ্ট সময়ে বড় হলে বিক্রি করেন চাষিরা। কিন্তু দুর্যোগ মুহূর্তে এখন কিছুই করার নেই। বরজ থেকে কচি পানই কেটে কোনো রকম বিক্রির জন্য বিড়া (গুচ্ছ) সাজানো হচ্ছে। তা না করলে জমিতে পচবে এসব পান। পান বড় হলে প্রতি বিড়া বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সাইজে ছোট হওয়ায় এখন প্রতি বিড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, উপজেলার ১১৯ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পান চাষের সঙ্গে জড়িত আছে এক হাজার ৭২ জন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। কৃষকদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ সঠিক না। প্রণোদনা এলে কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।