[ad_1]
‘এখানে বিশ্বাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
তানজিলা ইফাত তাসকিন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট।
অনেকে না চাইলেও বাস্তবতা হচ্ছে, হাইব্রিড ডেটিং সমাজে বিদ্যমান। কেউ কেউ মনে করেন, এটা শুধু জেন–জিরা করছে, এই ধারণাটাও ভুল। আমার কাছে এমন অনেক রোগী আসেন, যাঁদের বয়স ৩৫–৪০ বছর। তবে এটাও সত্যি, এই সম্পর্কটা জেন–জিদের মধ্যেই বেশি। কেউ হয়তো পরিবার থেকে দূরে থাকায় এমন সম্পর্কে জড়িয়েছেন, কেউ আবার বিচ্ছেদের পর বা একাকী থাকার ফলে এমন সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছেন, একঘেয়েমি অথবা বহুগামিতার প্রবণতাও এখানে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে।
এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। একে অন্যকে বুঝতে পারা, অপর পক্ষের প্রত্যাশা ও চাহিদাগুলো জানতে চাওয়া ও নিজেরটা জানানো এবং সম্পর্কের অর্থটি তার কাছে কেমন, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তাই যেকোনো সম্পর্কে জড়ানোর আগে হঠাৎ ঝোঁকের মাথায় সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটু সময় নিন। এরপর আবেগ ও যুক্তির সংমিশ্রণে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। যে সময়টা নিচ্ছেন, সেটা নিজেকে এবং অন্যকে জানাশোনার ব্যাপারে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু হাইব্রিড প্রেমকে কেউ কেউ একটা পর্যায়ে যৌনতার দিকে নিয়ে যান, এ বিষয়েও তাই সাবধান থাকতে হবে। বিশেষ করে এসব ক্ষেত্রে নারীরা বেশি ভিকটিম হয়ে থাকেন। তাই কোনো চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে সব দিক বিবেচনা করে নেওয়া জরুরি। অনেকে অনলাইনের এমন ফাঁদে পড়ে বারবার ভুল করতে থাকেন। ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা আদায় করে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে শোনা যায়। তাই অনলাইনে পরিচয় হলেই মানুষটাকে দ্রুত বিশ্বাস করা যাবে না। আগে বিশ্বাস অর্জন করা দুই পক্ষের জন্যই ভালো।
যাঁরা খুব দ্রুত এ ধরনের সম্পর্কের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে যেতে থাকেন, তাঁরা প্রতারিত হন বেশি। একাকিত্ব দূর করার জন্য যে ডেটিং শুরু করছেন, সেটা যেন অল্প দিন পরেই নিজেকে আরও বেশি একা করে না দেয়। পরে যে বিষয়গুলো ঘটতে পারে, আগেই সেসব ভাবনা নিজের মধ্যে রাখতে হবে। অনলাইন ডেটিং করার সময় একান্ত মুহূর্তের কোনো ছবি ফোনে রেখে দিলে সেটা অন্যভাবেও বেহাত হতে পরে। ফোন চুরি হলে বা হ্যাকড হলেও তৃতীয় কেউ সেটা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে পারে। তাই সব দিক ভেবে কিছুটা ধীরেই এগোতে হবে।
[ad_2]