[ad_1]
আমাদের সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে বর্তমানে প্রায় ২৭ শতাংশের বেশি মুসলমান। অথচ সাচার কমিটির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সরকারি চাকরির উচ্চ ও নিম্ন ধাপ মিলিয়ে মুসলমানদের অংশগ্রহণ মাত্র ৩.৪ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে অবশ্য এ হার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ইনস্টিটিউট, অ্যাসোসিয়েশন স্ন্যাপ ও গাইডেন্স গিল্ড কর্তৃক সাচার কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার এক দশক পরে করা সমীক্ষায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, যেসব ব্লকে মুসলমান জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশের কম, সেখানে আনুপাতিক হারে প্রতি লাখ মানুষের জন্য ২.৩টি করে হাসপাতাল রয়েছে। আর যে ব্লকগুলোয় বেশিসংখ্যক মুসলমান মানুষের বাস, সেখানে প্রতি লাখ মানুষের জন্য হাসপাতালের পরিমাণ ১.৪। মুসলিমপ্রধান ব্লকগুলোয় স্কুলের সংখ্যাও আনুপাতিক হারে বহুলাংশে কম।
ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মধ্যে আনুপাতিকভাবে মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি নিম্ন আয়ের। ফলে অভাবের তাড়নায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের একটা অংশ স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এই ঝড়ে পরা রোধে সরকারের পদক্ষেপের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাই শিক্ষার গড় হারেও মুসলিমরা পিছিয়ে রয়েছে। সাচার কমিটি ভারতীয় মুসলমানদের অবস্থাকে দলিতদের চেয়েও খারাপ বলে মন্তব্য করেছিল। মুসলিম সমাজের দুরবস্থার উত্তরণ যে হয়নি, তা বলাই বাহুল্য।
[ad_2]