বুড়িচংয়ে খোলা আকাশের নিচে বন্যাদুর্গত দেড় লক্ষাধিক মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ২৭৬ বার পড়া হয়েছে
সত্তরোর্ধ্ব আবদুস সাত্তারের বাড়ি মহিষমারা এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন সাত ঘণ্টা পর তাঁদের উদ্ধার করেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে উঁচু জায়গায় আসার পর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, তাঁর জীবনে এত পানি দেখেননি। তিনি জীবনেও ভাবেনি এই পানি মাড়িয়ে এসে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে কেউ বাঁচাবেন।
কুমিল্লা শহরের শাসনগাছা থেকে বুড়িচং পর্যন্ত দুই দিকে গৃহপালিত পশু বেঁধে রেখেছেন বুড়িচংয়ের লোকজন। ব্যস্ততম এই সড়কের ইছাপুরার পর আর সামনে যাওয়া যাচ্ছে না। যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুড়িচং উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত সবার এখন খাবার, ওষুধ ও স্যালাইন প্রয়োজন। ত্রাণ কখন আসবে, সেদিকে তাকিয়ে আছের দুই লক্ষাধিক মানুষ।
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান জানান, কুমিল্লায় এখনো বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলে আরও অসহায় হয়ে পড়বেন ভানবাসি মানুষ।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, আজ বিকেল পর্যন্ত গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী সাত–আট ঘণ্টা পর পানি স্বাভাবিক স্তরে ফিরতে পারে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘বুড়িচংসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। উদ্ধার কার্যক্রমে উপজেলা প্রশাসন সমন্বয় করছে।’