[bangla_day], [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
joytvnewsbd.com - news@joytvnewsbd.com - www.fb.com/joytvnews.com.official

পূজামণ্ডপে ‘ইসলামি গান’: জড়িতদের

প্রকাশিত হয়েছে- অক্টোবর ১১, ২০২৪

[ad_1]

চট্টগ্রাম: নগরে দুর্গাপূজার একটি মণ্ডপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ইসলামি গান’ পরিবেশন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।  

তবে এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই ওই পূজামণ্ডপে গিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের রহমতগঞ্জের জে এম সেন হলের ওই মণ্ডপের অনুষ্ঠানে ‘ইসলামি গান’ পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছয় সদস্য।

তারা অনুষ্ঠানে দুটি গান পরিবেশন করেন।

এর মধ্যে একটি গান ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’। গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামান গণমাধ্যমকে বলেন, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণেই সেখানে সংগীত পরিবেশন করতে যান তারা।  

কেউ কেউ ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন একাডেমির সভাপতি।

তবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যাচাই করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পূজামণ্ডপে গানের ভিডিওটি আসল, এডিটেড নয়।

চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত- বলে জানা যাচ্ছে। জামায়েতে ইসলামীর একজন নেতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, একাডেমিটি জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।

একাডেমি সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, এটি ছাত্রশিবিরের কোনো সংগঠন নয়।

ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুকান্ত মহাজন বলেন, পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তকে ওই তরুণেরা এসে বলেন, তারা মঞ্চে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করবেন।

পরে তারা উঠে গান শুরু করেন। গান শেষে তারা চলে যান বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে সজল দত্তের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানান, ঘটনার সময় সেখানে চট্টগ্রামের আদালত ঘোষিত সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম নগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শাহাদাত হোসেন কল ধরেননি। আর জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী দাবি করেন, এদিন তিনি কোনো পূজামণ্ডপে যাননি।

ভিডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।  

এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত হোক না কেন, তাদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। এ বিষয়ে রাতের মধ্যেই মামলা নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
আরএইচ



[ad_2]