ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি MOD Activity round 2025 bdnewspost.com এসএসসি গণিত সাজেশন ২০২৫ – ssc math advice 2025 bdnewspost.com টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নোয়াখালীতে “টিইসিএন ফেব্রিক অ্যান্ড অ্যাপারেল উইক ২০২৫” শুরু bdnewspost.com বি-আর পাওয়ারজেন লিঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি B-R Powergen Restricted Activity Round 2025 bdnewspost.com আজ খুলনার প্রবীণ সাংবাদিক, লোক গবেষক ও অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী bdnewspost.com Dakhil Math Query Resolution 2025 – Dakhil Math MCQ Query resolution 2025 PDF Obtain bdnewspost.com দাখিল গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৫ PDF bdnewspost.com চুয়েটে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে bdnewspost.com SSC English 2d Paper Query Solution 2025 – SSC English 2d Paper Query answer 2025 PDF Obtain bdnewspost.com এসএসসি ইংরেজি ২য় পত্র প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ PDF সব বোর্ড ঢাকা, যশোর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বোর্ড bdnewspost.com

পানির নিচে তলিয়ে গেছে নোয়াখালী, ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে


কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা সদর পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের জেলা জামে মসজিদ, আদালত প্রাঙ্গণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রধান প্রধান সড়ক ও হাটবাজারসহ সব স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু শহর নয় জেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে আটটিই প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলায় ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে, কখনো সেটি ঝোড়ো বাতাসসহ ভারী বর্ষণে পরিণত হয়েছে।

নোয়াখালীর সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সুবর্ণচর উপজেলা বন্যার পানিতে থই থই করছে। ফেনী মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করায় জেলার সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৫ ফুট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, নিচু এলাকাগুলো যার পরিমাণ ৬ থেকে ৭ ফুট। বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত অনেকে খাটের ওপর অবস্থান করলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা নিকটস্থ আশ্রয়ণ কেন্দ্র, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অবস্থান নিয়েছেন।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর টিউবওয়েল গুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জুড়ে। বসত ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় খাবার সংকটে রয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। নষ্ট হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র। জেলার প্রধান সড়কসহ প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কগুলোতে যান চলাচল অনেকটাই কম।

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু বুধবার দুপুরে ফেনী মুহুরি নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনী ছোট নদী হয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা হয়ে নোয়াখালী খালে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে বিভিন্ন উপজেলা বন্যা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বন্যায় কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএইচবিও, সাইবার ওয়ারিয়র্স, স্বপ্নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। তারা বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন আশ্রয়ণকেন্দ্রে গিয়ে বন্যার্ত মানুষদের মুড়ি, বিস্কুট, চিড়া ও বিশুদ্ধ খাবার বিতরণ করছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, মুহুরি নদীর পানি প্রবেশের কারণে ছোট ফেনী নদীতে জোয়ার স্বাভাবিকের তুলনায় ৫-৬ ফুট উচ্চতায় বইছে। ফলে বন্যার পানি নামতে পারছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মীরা রানী দাস জানান, এবারের বন্যায় চলতি আমন ও আউশ মৌসুমে জেলায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৬ হেক্টর আমনের বীজতলা, আবাদ করা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজার ৯০০ হেক্টর। এ ছাড়া আবাদ করা আউশের খেত নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৩৭৭ হেক্টর জমি। পানি না নামা পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। বন্যায় আমন ও আউশের পাশাপাশি সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের কাজ চলছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, মুহুরি নদীর পানির কারণে জেলার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৮৭টি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ১৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। বন্যায় নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য ৩৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন চাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগদ অর্থ ৩৫ হাজার ও ৬২৫ মেট্রিকটন চাল মজুত রাখা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক মজুতের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পানির নিচে তলিয়ে গেছে নোয়াখালী, ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি

আপডেট সময় : ১১:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪


কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে নোয়াখালী জেলা সদর পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের জেলা জামে মসজিদ, আদালত প্রাঙ্গণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রধান প্রধান সড়ক ও হাটবাজারসহ সব স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু শহর নয় জেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে আটটিই প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলায় ৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে, কখনো সেটি ঝোড়ো বাতাসসহ ভারী বর্ষণে পরিণত হয়েছে।

নোয়াখালীর সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও সুবর্ণচর উপজেলা বন্যার পানিতে থই থই করছে। ফেনী মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করায় জেলার সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। প্রতিটি বাড়িতে ৩ থেকে ৫ ফুট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, নিচু এলাকাগুলো যার পরিমাণ ৬ থেকে ৭ ফুট। বসত ঘরে পানি প্রবেশ করায় গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত অনেকে খাটের ওপর অবস্থান করলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা নিকটস্থ আশ্রয়ণ কেন্দ্র, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অবস্থান নিয়েছেন।

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর টিউবওয়েল গুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জুড়ে। বসত ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে পড়ায় খাবার সংকটে রয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। পানি ঢুকে পড়েছে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে। নষ্ট হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র। জেলার প্রধান সড়কসহ প্রায় ৮০ ভাগ সড়ক কয়েক ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কগুলোতে যান চলাচল অনেকটাই কম।

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর নবী গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু বুধবার দুপুরে ফেনী মুহুরি নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনী ছোট নদী হয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা হয়ে নোয়াখালী খালে পানি ঢুকে পড়ে। ফলে বিভিন্ন উপজেলা বন্যা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বন্যায় কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসএইচবিও, সাইবার ওয়ারিয়র্স, স্বপ্নসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। তারা বুধবার রাত থেকে বিভিন্ন আশ্রয়ণকেন্দ্রে গিয়ে বন্যার্ত মানুষদের মুড়ি, বিস্কুট, চিড়া ও বিশুদ্ধ খাবার বিতরণ করছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল জানান, মুহুরি নদীর পানি প্রবেশের কারণে ছোট ফেনী নদীতে জোয়ার স্বাভাবিকের তুলনায় ৫-৬ ফুট উচ্চতায় বইছে। ফলে বন্যার পানি নামতে পারছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মীরা রানী দাস জানান, এবারের বন্যায় চলতি আমন ও আউশ মৌসুমে জেলায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ৪ হাজার ৬৮৬ হেক্টর আমনের বীজতলা, আবাদ করা আমনের ক্ষতি হয়েছে ২৬ হাজার ৯০০ হেক্টর। এ ছাড়া আবাদ করা আউশের খেত নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৩৭৭ হেক্টর জমি। পানি না নামা পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। বন্যায় আমন ও আউশের পাশাপাশি সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণের কাজ চলছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, মুহুরি নদীর পানির কারণে জেলার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৮৭টি এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ১৯ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। বন্যায় নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার জন্য ৩৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, বন্যায় চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিকটন চাল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় নগদ অর্থ ৩৫ হাজার ও ৬২৫ মেট্রিকটন চাল মজুত রাখা হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক মজুতের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ