ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
SSC Bangladesh and International Research MCQ Query resolution 2025 – BGS Query & Solution 2025 All Board PDF bdnewspost.com দাখিল জীববিজ্ঞান MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com Dakhil Biology MCQ Query Solution 2025 – Dakhil Jibbiggan MCQ Query answer 2025 PDF Obtain bdnewspost.com ডিগ্রি ২য় বর্ষ পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ – NU Stage second Yr Regimen 2025 bdnewspost.com দাখিল জীববিজ্ঞান MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় MCQ সমাধান 2024 PDF bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় MCQ সমাধান 2025 PDF bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি ইতিহাস MCQ সমাধান 2024 PDF bdnewspost.com কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুর নিয়োগ Rangpur VAT Process Round 2025 bdnewspost.com দাখিল রসায়ন MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com

নোমান-সাজিদের স্পিনে ফুরোল পাকিস্তানের জয়ের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে


আগের ইনিংসে সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন তারা দুজন। এবার তো পেসারদের বোলিংয়ে আনেননি পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।

নোমান আলী ও সাজিদ খান মিলিয়ে চালিয়ে গেলেন দুপাশ থেকে। তাদের স্পিন জাদুতে অবশেষে ঘরের মাঠে জয়ের অপেক্ষা ফুরোল পাকিস্তানের।

মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে ঘরের মাঠে টানা ১১ ম্যাচ জয়হীন থাকতে হয়েছে তাদের। শান মাসুদেরও অধিনায়ক হিসেবে এটি প্রথম জয়। এর আগে টানা ছয় ম্যাচে হারের মুখ দেখেছেন তিনি।  

২৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নোমান-সাজিদের স্পিনে ধরাশায়ী হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানের বেশি যেতে পারেনি সফরকারীরা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৬ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেন নোমান। টেস্টে এটি বাঁহাতি স্পিনারের পঞ্চম ফাইফার। বাকি দুটি উইকেট নেন সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে অবশ্য তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের নায়ক। ১১১ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তাই ওঠে ডানহাতি এই স্পিনারের হাতে। সেই ইনিংসে বাকি ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে রাখেন নোমান।

তাতে ৫২ বছর পর বিরল এক নজিরই দেখা গেল। টেস্ট ইতিহাসে ২০ উইকেটের সবগুলো নিয়েছেন কেবল দুজন বোলার- এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল ছয়বার। মুলতান টেস্টে এসে সপ্তম ঘটনার জন্ম দিলেন নোমান ও সাজিদ। যদিও এই কীর্তিতে পাকিস্তানের হয়ে তারাই প্রথম নন।  

১৯৫৬ সালে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ২০ উইকেটের সবগুলো শিকার করেছিলেন দুই পেসার ফজল মাহমুদ ও খান মোহাম্মদ। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নেন কিংবদন্তি ফজল। অন্যদিকে খান ৪ উইকেটের দেখা পান প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল তিনটি  উইকেটই নিতে পারেন তিনি।

আজ সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিল নোমান-সাজিদ জুটি। তাদের সামনে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে অধিনায়ক বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে।

এনিয়ে তৃতীয়বার কোনো টেস্ট ম্যাচে ভিন্ন দুজন বোলার ৭ বা এর বেশি উইকেট নেওয়ার নজির ঘটল। ১৯৯৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেট করে নেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ। সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ফিল টাফনেলও। প্রথমবার এমনটা ঘটে ১৯৫৬ সালে চেন্নাই টেস্টে। ভারতের বিপক্ষে সেবার প্রথম ইনিংসে রিচি বেনো ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নেন রে লিন্ডওয়াল।

এদিকে ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের দুই স্পিনার একই ম্যাচে ফাইফারের দেখা পেলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৬৬/১০ (কামরান ১১৮, সায়েম ৭৭; লিচ ৪/১১৪, কার্স ৩/৫০)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯১/১০ (ডাকেট ১১৪, রুট ৩৪; সাজিদ ৭/১১১, নোমান ৩/১০১)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ২২১/১০ (সালমান ৬৩, শাকিল ৩১; বশির ৪/৬৬, লিচ ৩/৬৭)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৪৪/১০ (স্টোকস ৩৭, কার্স ২৭; নোমান ৮/৪৬, ২/৯৩)।
ফল: পাকিস্তান ১৫২ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা।
ম্যাচ-সেরা: সাজিদ খান (পাকিস্তান)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
এএইচএস
 

   
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নোমান-সাজিদের স্পিনে ফুরোল পাকিস্তানের জয়ের

আপডেট সময় : ০১:৩২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


আগের ইনিংসে সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন তারা দুজন। এবার তো পেসারদের বোলিংয়ে আনেননি পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ।

নোমান আলী ও সাজিদ খান মিলিয়ে চালিয়ে গেলেন দুপাশ থেকে। তাদের স্পিন জাদুতে অবশেষে ঘরের মাঠে জয়ের অপেক্ষা ফুরোল পাকিস্তানের।

মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিকরা। এর আগে ঘরের মাঠে টানা ১১ ম্যাচ জয়হীন থাকতে হয়েছে তাদের। শান মাসুদেরও অধিনায়ক হিসেবে এটি প্রথম জয়। এর আগে টানা ছয় ম্যাচে হারের মুখ দেখেছেন তিনি।  

২৯৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নোমান-সাজিদের স্পিনে ধরাশায়ী হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানের বেশি যেতে পারেনি সফরকারীরা। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৬ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকার করেন নোমান। টেস্টে এটি বাঁহাতি স্পিনারের পঞ্চম ফাইফার। বাকি দুটি উইকেট নেন সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে অবশ্য তিনিই ছিলেন পাকিস্তানের নায়ক। ১১১ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তাই ওঠে ডানহাতি এই স্পিনারের হাতে। সেই ইনিংসে বাকি ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে রাখেন নোমান।

তাতে ৫২ বছর পর বিরল এক নজিরই দেখা গেল। টেস্ট ইতিহাসে ২০ উইকেটের সবগুলো নিয়েছেন কেবল দুজন বোলার- এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কেবল ছয়বার। মুলতান টেস্টে এসে সপ্তম ঘটনার জন্ম দিলেন নোমান ও সাজিদ। যদিও এই কীর্তিতে পাকিস্তানের হয়ে তারাই প্রথম নন।  

১৯৫৬ সালে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ২০ উইকেটের সবগুলো শিকার করেছিলেন দুই পেসার ফজল মাহমুদ ও খান মোহাম্মদ। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট তুলে নেন কিংবদন্তি ফজল। অন্যদিকে খান ৪ উইকেটের দেখা পান প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল তিনটি  উইকেটই নিতে পারেন তিনি।

আজ সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিল নোমান-সাজিদ জুটি। তাদের সামনে ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে অধিনায়ক বেন স্টোকসের ব্যাট থেকে।

এনিয়ে তৃতীয়বার কোনো টেস্ট ম্যাচে ভিন্ন দুজন বোলার ৭ বা এর বেশি উইকেট নেওয়ার নজির ঘটল। ১৯৯৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেট করে নেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও মাইকেল ক্যাসপ্রোভিচ। সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ফিল টাফনেলও। প্রথমবার এমনটা ঘটে ১৯৫৬ সালে চেন্নাই টেস্টে। ভারতের বিপক্ষে সেবার প্রথম ইনিংসে রিচি বেনো ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নেন রে লিন্ডওয়াল।

এদিকে ১৯৮৭ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানের দুই স্পিনার একই ম্যাচে ফাইফারের দেখা পেলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩৬৬/১০ (কামরান ১১৮, সায়েম ৭৭; লিচ ৪/১১৪, কার্স ৩/৫০)।
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯১/১০ (ডাকেট ১১৪, রুট ৩৪; সাজিদ ৭/১১১, নোমান ৩/১০১)।
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ২২১/১০ (সালমান ৬৩, শাকিল ৩১; বশির ৪/৬৬, লিচ ৩/৬৭)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৪৪/১০ (স্টোকস ৩৭, কার্স ২৭; নোমান ৮/৪৬, ২/৯৩)।
ফল: পাকিস্তান ১৫২ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা।
ম্যাচ-সেরা: সাজিদ খান (পাকিস্তান)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৪
এএইচএস
 

   
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।