[bangla_day], [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
joytvnewsbd.com - news@joytvnewsbd.com - www.fb.com/joytvnews.com.official

ধামরাইয়ে সাবেক এমপিসহ ৮২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত হয়েছে- অগাস্ট ২৩, ২০২৪

[ad_1]

ঢাকার ধামরাইয়ে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা-২০ আসনের (ধামরাই) সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমদসহ আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) নিহতের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলাটি করেন।

নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) ধামরাইয়ের কায়েতপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

মামলায় ঢাকা-২০ আসনের (ধামরাই) সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ (৭২), সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক (৬৮), ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা (৫৮), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন (৫৫), সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আহম্মদ আল জামান (৬০), মো. এনামুল হক আইয়ুব (৫৮), বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান (৫৭), বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন (৬৮), ধামরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ (৬০), সানোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু (৫৫), মো. আরিফ হোসেন (৩৭), ধামরাই পৌরসভার সাবেক কমিশনার তবারক হোসেন কামাল (৪২), সাবেক কমিশনার সাহেব আলী (৬২), মো. শিপলু (৩০), মাসুম খান (৬৯), সাখাওয়াত হোসেন সাকু (৬৫), হিমায়েত কবীর মতিন (৫৮), শহিদুল্লাহ (৫৮), আবু সাইত (৬২), আমিনুর রহমান (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (২৯), গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা (৫০), আমজাদ মোল্লা (৫০), সুমন আলী (৩৮), দীপু (৩৫) ও ৮২ জনসহ অজ্ঞাত ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা সবাই ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন করছিল ৫০০-৭০০ শিক্ষার্থী। সেখানে আন্দোলনে অংশ নেয় সাদ। এসময় ১-২০ নম্বর আসামিদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় ও যাকে পায় তাকেই মারপিট ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। সেখান থেকে পালানোর সময় সাদের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি



[ad_2]