ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DC Workplace Activity Round 2025 bdnewspost.com মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নিয়োগ CS Munshiganj Process round 2025 bdnewspost.com রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি RMMC Activity Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি bdnewspost.com বাংলাদেশ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর নিয়োগ Police Particular Department Task Round 2025 bdnewspost.com গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মডেল ইউনাইটেড নেশনস- এর সপ্তম আসর অনুষ্ঠিত bdnewspost.com কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে কিছু তথ্য bdnewspost.com ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে উদযাপিত হল ‘কমনওয়েলথ স্কলার্স ওয়েলকাম হোম’ bdnewspost.com হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ Habiganj DC Place of work Activity 2025 bdnewspost.com জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DPHE Process round 2025 bdnewspost.com

ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যা, বাঁধ খুলে দেয়ায় হুহু করে ঢুকছে পানি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে


ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। অবিরাম এই বৃষ্টিপাতে সেখানকার বিভিন্ন জনপদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ডুম্বুর জলাধারে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় কর্তৃপক্ষ সেখানে স্থাপিত বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে। ফলে উজানের ওই পানি ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ ভাসিয়ে হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশে।

ত্রিপুরা টাইমস ও বোরোক টাইমসের প্রতিবেদনে ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস খুলে দেয়ার এ খবর জানানো হয়েছে।

স্লুইস গেট খুলে দেয়ার ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমি ভেসে গেছে। বিভিন্ন নদ-নদী বেয়ে সেই পানি ছুটে আসছে ভাটির দিকে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বুধবার (২১ আগস্ট) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে গোমতী জেলায় রাজ্যের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের ডুম্বুর জলাধারে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি জমা হয়ে পড়েছে, তাই যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে; এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকায় আগাম ঘোষণা দিয়ে জলাধার কর্তৃপক্ষ স্লুইস গেট খুলে বাড়তি পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমিতে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বোরোক টাইমস বলছে, ৩১ বছর পর ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস গেট খুলেছে। এর আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই ১৯৯৩ সালে বাঁধের স্লুইস গেট খোলা হয়েছিল। তবে সে সময়ের তুলনায় এবার বন্যা পরিস্থিতি অনেক বিস্তৃত। বাঁধ ভেঙে গেলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো, সেই আশঙ্কায়ই স্লুইস গেট আগে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, রাজ্যের দক্ষিণ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও প্রায় আড়াইশো মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমন বৃষ্টিপাত আগে আর কখনো হয়নি।

এভাবে অবিরাম বৃষ্টি চললে নতুন করে আরও অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যে, আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে।

এদিকে ডুম্বুর জলাধারের পানি যেমন ভাটির দিকে আসছে, তেমনি ত্রিপুরার হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলা দিয়ে ঢুকছে এবং এর নিম্নাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উজান থেকে বানের পানি ঢুকতে থাকায় ফলে ফেনী জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি এখন পানির নিচে। সদর উপজেলা, সোনাগাজীর অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। বানের পানিতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। জেলায় দুই শ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইতোমধ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবি স্পিড বোট ও নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

অন্যদিকে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের অনেক নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ আরও কিছু জেলার নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, ফেনীর উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি এখন পানির নিচে। সদর উপজেলা, সোনাগাজীর অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তায় এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে অধিদপ্তরে স্থাপিত এই মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বুধবার বিকেল থেকে।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশের বন্যা কবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যে কোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু থাকবে।

পাশাপাশি মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০১৭১৩০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে ফোন করা যাবে। পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করা যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যা, বাঁধ খুলে দেয়ায় হুহু করে ঢুকছে পানি

আপডেট সময় : ০৩:৫২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪


ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। অবিরাম এই বৃষ্টিপাতে সেখানকার বিভিন্ন জনপদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ডুম্বুর জলাধারে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসায় কর্তৃপক্ষ সেখানে স্থাপিত বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে। ফলে উজানের ওই পানি ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ ভাসিয়ে হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশে।

ত্রিপুরা টাইমস ও বোরোক টাইমসের প্রতিবেদনে ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস খুলে দেয়ার এ খবর জানানো হয়েছে।

স্লুইস গেট খুলে দেয়ার ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমি ভেসে গেছে। বিভিন্ন নদ-নদী বেয়ে সেই পানি ছুটে আসছে ভাটির দিকে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বুধবার (২১ আগস্ট) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে গোমতী জেলায় রাজ্যের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের ডুম্বুর জলাধারে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি জমা হয়ে পড়েছে, তাই যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে; এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় এলাকায় আগাম ঘোষণা দিয়ে জলাধার কর্তৃপক্ষ স্লুইস গেট খুলে বাড়তি পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর ও কৃষি জমিতে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বোরোক টাইমস বলছে, ৩১ বছর পর ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের স্লুইস গেট খুলেছে। এর আগে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণেই ১৯৯৩ সালে বাঁধের স্লুইস গেট খোলা হয়েছিল। তবে সে সময়ের তুলনায় এবার বন্যা পরিস্থিতি অনেক বিস্তৃত। বাঁধ ভেঙে গেলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো, সেই আশঙ্কায়ই স্লুইস গেট আগে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানান, রাজ্যের দক্ষিণ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও প্রায় আড়াইশো মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমন বৃষ্টিপাত আগে আর কখনো হয়নি।

এভাবে অবিরাম বৃষ্টি চললে নতুন করে আরও অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যে, আরও দুদিন এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে।

এদিকে ডুম্বুর জলাধারের পানি যেমন ভাটির দিকে আসছে, তেমনি ত্রিপুরার হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন জেলা দিয়ে ঢুকছে এবং এর নিম্নাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

ভারী বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে উজান থেকে বানের পানি ঢুকতে থাকায় ফলে ফেনী জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি এখন পানির নিচে। সদর উপজেলা, সোনাগাজীর অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। বানের পানিতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। জেলায় দুই শ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ইতোমধ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনী ও বিজিবি স্পিড বোট ও নৌকা নিয়ে মাঠে নেমেছে।

অন্যদিকে কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের অনেক নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ আরও কিছু জেলার নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, ফেনীর উত্তরের তিন উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি এখন পানির নিচে। সদর উপজেলা, সোনাগাজীর অনেক গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তায় এরইমধ্যে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মনিটরিং সেল চালু করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে অধিদপ্তরে স্থাপিত এই মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বুধবার বিকেল থেকে।

ফায়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশের বন্যা কবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যে কোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু থাকবে।

পাশাপাশি মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০১৭১৩০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে ফোন করা যাবে। পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করা যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি