[ad_1]
চট্টগ্রামে ডিম সরবরাহ হয় মূলত টাঙ্গাইল, রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কাপাসিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে। এর মধ্যে পাহাড়তলী বাজারে বড় অংশ সরবরাহ হয় কুমিল্লা ও নোয়াখালী থেকে। একে ‘লেয়ার বেল্ট’ হিসেবে বলছেন আড়তদারেরা। সম্প্রতি বন্যার কারণে এই এলাকার খামারগুলো তলিয়ে গেছে। এর পর থেকেই চট্টগ্রামের বাজারে ডিমের সংকট দেখা দিয়েছে।
আড়তদারেরা জানান, খামারি ও ব্যাপারীরা ডিম সরবরাহ করছেন ১২ টাকা ৮০ পয়সা দরে। সেখানে সরকার বলছে ১১ টাকায় বিক্রি করতে। এত লোকসান দিয়ে ডিম বিক্রি সম্ভব নয়। অন্যদিকে বাড়তি দামে বিক্রি করলে জরিমানা করা হচ্ছে। সব দিকে আড়তদারেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ উৎপাদক পর্যায়ে তদারকি হচ্ছে না।
আজ বাজারে প্রতিটি লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৩ টাকায়। দুই সপ্তাহ ধরেই বাজারে এই দর রয়েছে। খামারিরা জানান, ডিম, মুরগির পুরো নিয়ন্ত্রণ করপোরেট ব্যবসায়ীদের হাতে। তবে তাঁদের জরিমানা করা হয় না।
চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। অথচ অভিযানে এলে কর্মকর্তারা কোনো কথা শোনেন না। বৈঠকের কথা বললেও তাঁরা রাজি হন না। তাই যত দিন সরবরাহকারীরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ডিম সরবরাহ করবে না, তত দিন আমাদের আড়তও বন্ধ থাকবে।’
[ad_2]