টেকনাফে জোয়ারে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, আতঙ্কে ৪০ হাজার মানুষ
- আপডেট সময় : ১২:১৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
দেখা গেছে, পশ্চিম পাশের আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধের সিসিব্লক ধসে পড়ছে। বেড়িবাঁধের ঢালুতে অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি এবং নিচের একাধিক অংশের আরও ২০টির বেশি সিসিব্লক সরে গেছে। সিসিব্লকের নিচে মাটির বাঁধ। জোয়ারের ধাক্কায় মাটির বাঁধ ভেঙে গেলে পুরো শাহপরীর দ্বীপ আবারও ঝুঁকিতে পড়বে।
পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পানির উচ্চতা ৮ থেকে ১২ ফুট বেড়েছে। বড় বড় ঢেউ এসে বাঁধে আঘাত হানছে। কিছু অংশে সমুদ্রের পানি বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। পূর্ণিমার এই জোয়ারের প্রভাব আরও ১০ থেকে ১২ দিন থাকতে পারে। এর মধ্যে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তখন বেড়িবাঁধ বিলীন হতে পারে। আতঙ্কে দ্বীপের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
মৎস্য আহরণের অন্যতম স্থান শাহপরীর দ্বীপ এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শাহপরীর দ্বীপ রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক জাহেদ হোসেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপে পশ্চিম পাশে ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। সেই ১ কিলোমিটার ভাঙা বাঁধ নির্মাণে ১০ বছরে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে পাউবো। দুর্নীতির কারণে বেড়িবাঁধ হয়ে ওঠেনি। ওই সময়ের জলোচ্ছ্বাসে শাহপরীর দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার একরের চিংড়ির ঘের ও ফসলি জমি সাগরগর্ভে তলিয়ে গেছে। বিলীন হয়েছে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্তত চার হাজার ঘরবাড়ি। দুই বছর আগে ১৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধটির সিসিব্লক ধসে পড়ার ঘটনায় দ্বীপের লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।