[bangla_day], [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
joytvnewsbd.com - news@joytvnewsbd.com - www.fb.com/joytvnews.com.official

‘জনগণকে জ্বালাবে এমন সরকারের পুনরাবৃত্তি না হোক’

প্রকাশিত হয়েছে- অগাস্ট ২১, ২০২৪

[ad_1]

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘হাজারো ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে পরিবর্তনটা এসেছে, সেটা যেন জনগণের কাজে লাগে। একটা সরকার বিদায় নিলো মানুষকে জ্বালাতন করে। আরেকটা সরকার যেন না আসে মানুষকে জ্বালানোর জন্য। আমরা চাই, এই ধরনের সরকারের পুনরাবৃত্তি না হোক।’

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা আহত রোগীদের খোঁজ খবর নেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ৫ তারিখ বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনটা খুব সহজে আসে নাই। অনেক জীবন এবং রক্তের বিনিময়ে এসেছে। যারা চলে গেছে আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আর যারা আহত হয়ে বেঁচে আছেন, আল্লাহ তাদের সুস্থতা দান করুন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে যে পরিবর্তনটা এসেছে, সেটা যেন জনগণের কাজে লাগে।’

এ সময় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা সঙ্গত কারণে সবার কাছে যেতে পারিনি। যাদের দেখেছি, তাদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি দেখেছি। তারা বলেছেন, এখানকার (চমেক) চিকিৎসার ওপর তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। তাদের সন্তুষ্টি আল্লাহ তাওয়ালা কবুল করুন।’

‘এখানে যারা কর্তব্যরত চিকিৎসক আছেন। আল্লাহ তাদের হাইয়াতে তাইয়্যাবা দান করুন। তাদের যোগ্যতা বাড়িয়ে দিন। এবং দেশের জন্য যেন তারা আরও বেশি করতে পারেন সেই তৌফিক দিন। এই রোগীগুলোকে তাদের কাছে আমানত হিসেবে রেখে যাচ্ছি।’

‘জনগণকে জ্বালাবে এমন সরকারের পুনরাবৃত্তি না হোক’

এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) পৌনে ৯টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান জামায়াতে ইসলামীর নেতারা। এ সময় ডা. শফিকুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্তের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

‘জনগণকে জ্বালাবে এমন সরকারের পুনরাবৃত্তি না হোক’

এ সময় পরিবারের সদস্যদের তিনি বলেন, ‘শান্ত আমাদেরই সন্তান। সে যে কাজে শহীদ হয়েছে, সেটি অত্যন্ত গৌরবের। আমরা একটা জুলুমের মধ্যে ছিলাম। আল্লাহ ১৮ কোটি মানুষকে নাজাত দিয়েছেন। এই ছেলেদের জীবন রক্ত আল্লাহ কবুল করেছেন। আল্লাহ আপনাদের সবর দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সন্তান বড় হলে আপনাদের দেখভাল করতো। এখন আপনাদের ভরণ-পোষণের জন্য আমরা আল্লাহকেই আপনাদের জন্য নিয়োজিত করলাম। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।’

এএজেড/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

[ad_2]