[ad_1]
‘দায়িত্ববান বলতে যা বোঝায়, তা ছিল আমার ছেলি রমজান আলী। আমাকে চাপ না দিয়া মানুষের বাড়িত কাজ করি মেট্রিক পাস করিছে। অল্প বয়সে সৌদি আরব গেছে। এর দুই বছর পর দেশে আসি আইএ পাস করি আবার ডিগ্রিতে ভর্তি হইছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইপাইলে গিয়ে মাছের আড়তে কাজ নিসে। বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকাও জমা করছিল। কিন্তু হঠাৎ আন্দোলন শুরু হয়। আর আমার ছেলি দেশের কথা ভাবি মিছিল–মিটিংয়ে যোগ দিত। গত ৫ আগস্ট সকালে বাইপাইলে মিছিলের মধ্যিই সে গুলি খাইল, আর দুপুরে মারা গেল এনাম মেডিকেলে।’
একটানা কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রমজান আলীর (৩০) বাবা নজরুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার সাঐল হাজিপাড়ার নিজ বাড়িতে বসে এ কথা বলেন তিনি।
[ad_2]