[ad_1]
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছেন ফেনী নদীর তীরবর্তী সাধারণ মানুষ। হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ও পাহাড়ি ঢল বেড়ে যাওয়ায় চরম উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কে সময় কাটছে মিরসরাই উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
ঘরহীন, খাবারহীন, পানিহীন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মানুষগুলো খুঁজছে একটু বেঁচে থাকার আশ্রয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত করেরহাট, হিঙ্গুলী, ধুম, আজমনগর ইউনিয়নের অনেক গ্রামে ঘরের একতলা পর্যন্ত পানি উঠেছে। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও শত শত মানুষ বাড়ির ছাদে, দোতলায় আটকে রয়েছেন। সারারাত বিভিন্ন স্থান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নৌকার আকুতি জানানো হয়েছে। তবে বিরূপ পরিস্থিতিতে সাড়া পাওয়া গেছে কম।
রাত ১টার সময় ধুমের মোবারকঘোনা এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন ইরান জানান, তার একতলা ঘরের সমান পানি উঠে গেছে। এখন সবাই দোতলায় অবস্থান করছে। পানি আরও বাড়লে দোতলায় থাকা কঠিন হবে।
রাত দেড়টার সময় করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের আর্তনাদ শোনা গেছে। অনেকে নিজে এলেও পরিবারের অন্য সদস্য ও স্বজনরা আটকে রয়েছেন। তারা কোনোভাবে এক কাপড়ে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এখন তাদের খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই। চারিদিকে হাহাকার।
রাত ২টার দিকে পশ্চিম জোয়ার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তাদের একজন জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের বাড়ি ফেনী নদী তীরবর্তী এলাকায়। রাতে নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। খুব আতঙ্কে আছি। পানি থৈ থৈ করছে। পরিবার নিয়ে দোতলায় রয়েছি। নির্ঘুম রাত কেটেছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক মাহফুজা জেরিন বলেন, উপজেলার ফেনী নদীর তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে আটকা পড়েছেন। সময় মতো আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ায় তারা বিপদে রয়েছেন। শুক্রবার আবার তাদের উদ্ধার কাজ শুরু হবে। যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
এম মাঈন উদ্দিন/এমএইচআর/এমএস
[ad_2]