ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি MOWCA Process Round 2025 bdnewspost.com মাস্টার্স ফাইনাল ইয়ার রেজাল্ট ২০২৫ প্রকাশিত – মাস্টার্স রেজাল্ট দেখার নিয়ম bdnewspost.com ডিগ্রি ৩য় বর্ষ পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ প্রকাশ – NU Regimen PDF ডাউনলোড করুন (সংশোধিত) bdnewspost.com পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি PPA Task Round 2025 bdnewspost.com মাস্টার্স রেজাল্ট ২০২৫ – মাস্টার্স শেষ বর্ষের রেজাল্ট ২০২৫ দেখুন এখানে bdnewspost.com রেলপথ মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি MOR Activity Round 2025 bdnewspost.com ৫৩ নং ওয়ার্ড ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সুরুজ্জামানের ঈদের শুভেচ্ছা bdnewspost.com আনসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০২৩ । আনসার উপজেলা প্রশিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন সমাধান bdnewspost.com বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি BPI Process Round 2025 bdnewspost.com বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ CAAB Process Round 2025 bdnewspost.com

আপনজন হারানো পরিবারকে যেভাবে সান্ত্বনা দিতেন নবিজি (সা.)

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে


কেউ দুনিয়া থেকে বিদায় নিলে স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা স্বাভাবিকভাবেই শোকাকুল হয়ে পড়েন। তখন অন্যদের কর্তব্য তাদের দেখতে যাওয়া, সান্ত্বনা দেওয়া, তাদেরকে শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা।

নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবন থেকে আমরা এই কর্তব্য পালনের শিক্ষা পাই। কোনো বাড়িতে কেউ মারা গেলে নবিজি (সা.) তার বাড়িতে যেতেন, মৃতের পাশে বসে তার জন্য দোয়া করতেন। মৃতের পরিবারকেও তার জন্য দোয়া করতে বলতেন, ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহর ওপর ভরসা করার উপদেশ দিতেন এবং আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের জন্য দোয়া করতে বলতেন। শোকগ্রস্ত অবস্থায় বিলাপ করতে বা খারাপ কিছু চাইতে নিষেধ করতেন।

সাহাবি আবু সালামার (আ.) ওফাতের পর নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং তার জন্য দোয়া করেন। ঘটনাটি বর্ণনা করে তার স্ত্রী উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আবু সালামর ওফাতের পর আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের বাড়িতে এলেন। আবু সালামার কাছে এসে তিনি দেখলেন যে, তার দুই চোখ খুলে আছে। তিনি তার চোখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর বললেন, যখন রুহ কবজ করে নেয়া হয় তখন চোখ রুহের অনুগামী হয়।

ওই সময় তার পরিবারের কয়েকজন চিৎকার করে কেঁদে উঠলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা নিজের জন্য যা কল্যাণকর, শুধু সেটাই চাও। কারণ তোমরা যা বল তার জন্য ফেরেশতারা এ সময় আমিন, আমিন বলতে থাকেন।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন, হে আল্লাহ আবু সালামাকে ক্ষমা করুন এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন। আপনি তার বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যান। হে রাব্বুল আলামিন তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। তার কবরকে প্রশস্ত করুন এবং তা আলোকজ্জ্বল করে দিন। (সহিহ মুসলিম: ৯২০)

আরেকটি বর্ণনায় উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি যে, কোনো মুসলমান যখন কোনো বিপদে পড়ে, তখন সে যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন’ বলে দোয়া করে, হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দান করুন এবং এর উত্তম বদলা দান করুন।’ তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বদলা দান করেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯৯৮)

এ ছাড়া মৃতের শোকাকুল পরিবার-পরিজনের জন্য খাবার পাঠানোও নবিজির সুন্নত। মুতা যুদ্ধের ময়দান থেকে হজরত জাফরের (রা.) শাহাদাতের খবর এলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পরিবারের জন্য খাবার পাঠিয়েছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন জাফরের (রা.) মৃত্যুর খবর এলো, নবিজি (সা.) বললেন, জাফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করো। তাদের কাছে এমন দুঃসংবাদ এসেছে, যা তাদের ব্যস্ত করে রাখবে। (সুনানে আবি দাউদ: ৩১৩২)

মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন পরিধান করানোও সওয়াবের কাজ। সম্ভব হলে এ সব কাজেও মৃতের পরিবারকে সাহায্য করা উচিত। মৃতের জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ করা মুসলমান হিসেবে মৃত ব্যক্তির হক। মৃতের আত্মীয়-স্বজনের জন্যও তা সান্ত্বনার মাধ্যম হয়। রাসুল (সা.) বলেন, এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।


নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আপনজন হারানো পরিবারকে যেভাবে সান্ত্বনা দিতেন নবিজি (সা.)

আপডেট সময় : ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪


কেউ দুনিয়া থেকে বিদায় নিলে স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা স্বাভাবিকভাবেই শোকাকুল হয়ে পড়েন। তখন অন্যদের কর্তব্য তাদের দেখতে যাওয়া, সান্ত্বনা দেওয়া, তাদেরকে শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা।

নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবন থেকে আমরা এই কর্তব্য পালনের শিক্ষা পাই। কোনো বাড়িতে কেউ মারা গেলে নবিজি (সা.) তার বাড়িতে যেতেন, মৃতের পাশে বসে তার জন্য দোয়া করতেন। মৃতের পরিবারকেও তার জন্য দোয়া করতে বলতেন, ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহর ওপর ভরসা করার উপদেশ দিতেন এবং আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের জন্য দোয়া করতে বলতেন। শোকগ্রস্ত অবস্থায় বিলাপ করতে বা খারাপ কিছু চাইতে নিষেধ করতেন।

সাহাবি আবু সালামার (আ.) ওফাতের পর নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং তার জন্য দোয়া করেন। ঘটনাটি বর্ণনা করে তার স্ত্রী উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আবু সালামর ওফাতের পর আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের বাড়িতে এলেন। আবু সালামার কাছে এসে তিনি দেখলেন যে, তার দুই চোখ খুলে আছে। তিনি তার চোখ বন্ধ করে দিলেন। তারপর বললেন, যখন রুহ কবজ করে নেয়া হয় তখন চোখ রুহের অনুগামী হয়।

ওই সময় তার পরিবারের কয়েকজন চিৎকার করে কেঁদে উঠলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমরা নিজের জন্য যা কল্যাণকর, শুধু সেটাই চাও। কারণ তোমরা যা বল তার জন্য ফেরেশতারা এ সময় আমিন, আমিন বলতে থাকেন।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দোয়া করলেন, হে আল্লাহ আবু সালামাকে ক্ষমা করুন এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন। আপনি তার বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যান। হে রাব্বুল আলামিন তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। তার কবরকে প্রশস্ত করুন এবং তা আলোকজ্জ্বল করে দিন। (সহিহ মুসলিম: ৯২০)

আরেকটি বর্ণনায় উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছি যে, কোনো মুসলমান যখন কোনো বিপদে পড়ে, তখন সে যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন’ বলে দোয়া করে, হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দান করুন এবং এর উত্তম বদলা দান করুন।’ তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বদলা দান করেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯৯৮)

এ ছাড়া মৃতের শোকাকুল পরিবার-পরিজনের জন্য খাবার পাঠানোও নবিজির সুন্নত। মুতা যুদ্ধের ময়দান থেকে হজরত জাফরের (রা.) শাহাদাতের খবর এলে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পরিবারের জন্য খাবার পাঠিয়েছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন জাফরের (রা.) মৃত্যুর খবর এলো, নবিজি (সা.) বললেন, জাফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করো। তাদের কাছে এমন দুঃসংবাদ এসেছে, যা তাদের ব্যস্ত করে রাখবে। (সুনানে আবি দাউদ: ৩১৩২)

মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ও কাফন পরিধান করানোও সওয়াবের কাজ। সম্ভব হলে এ সব কাজেও মৃতের পরিবারকে সাহায্য করা উচিত। মৃতের জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণ করা মুসলমান হিসেবে মৃত ব্যক্তির হক। মৃতের আত্মীয়-স্বজনের জন্যও তা সান্ত্বনার মাধ্যম হয়। রাসুল (সা.) বলেন, এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।