ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DPE Task Round 2025 bdnewspost.com জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি NMST Task Round 2025 bdnewspost.com ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি LMAP Task round 2025 bdnewspost.com ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি PTD Activity Round 2025 bdnewspost.com নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ Naogaon DC Place of work Activity 2025 bdnewspost.com মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Moulvibazar DC Place of job Process 2025 bdnewspost.com বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি JATI Process Round 2025 bdnewspost.com গুপ্তসংকেত পরিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি DOC Task Round 2025 bdnewspost.com MOLE Process Round 2025 শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি bdnewspost.com স্থানীয় সরকার বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি LGD Activity Round 2025 bdnewspost.com

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, মনিটরিং জোরদারের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে


ঢাকা: নিত্যপণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রতিদিনই মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

গত একদিনের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগি, মাছ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে নৈরাজ্য কারণ হিসেবে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন ভোক্তারা।  

ভোক্তাদের দাবি গত কয়েকদিনে কাঁচাবাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। আর শীতকালীন সবজির দাম আকাশচুম্বী। অচিরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ চান ভোক্তা সাধারণ।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজারে বাংলানিউজের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা।

ক্রেতারা জানান, বাজারে কোনো পণ্যেরই দাম কমার কোনো সুখবর নেই। দু-দিন আগে পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা কেজি। আজ ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা দরে কিনতে হলো। ইলিশ ধরা বন্ধ হওয়ায় মাছের বাজারও চড়া রয়েছে।  

মো. ইসমাইল হোসেন সস্ত্রীক এসেছেন তালতলা বাজারে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন বাজার করে বাসায় নিয়ে গেলে পরিবারে মনোমালিন্য হয়। সংসারে চাহিদার সঙ্গে জোগান দিতে পারি না। তাই বাজারের চিত্র দেখাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এলাম। প্রতিদিন যেভাবে দাম বাড়ছে আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্তরা জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাটাই দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাজারের লাগাম টানা যাবে না বলে মনে করে শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবুল কাশেম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। দোকানিরা তাদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করছে। এই সব অসাধু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।  

বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সব সফলতা বিফলে যাবে বলে তিনি মনে করেন।  

এদিকে রোববার রাজধানীর এসব বাজারে  কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, শীতকালীন সবজি শিম ৪৮০ টাকা এবং নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে মাছ ও মুরগির দামও বেড়েছে।  

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে  ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, একদিনের ব্যবধান বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড  ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি টাকা কমে ৩৩০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ৪৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ছোট সাইজের ৮০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা এবং জলপাই ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ৬০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লালশাক ২৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা এবং ডাটাশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারগুলোতে একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা এবং পুরান আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা , মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশিকই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাকিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এসএমএকে/এসএএইচ




নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার, মনিটরিং জোরদারের

আপডেট সময় : ০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪


ঢাকা: নিত্যপণ্যের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রতিদিনই মাছ, মাংস ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

গত একদিনের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগি, মাছ ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে নৈরাজ্য কারণ হিসেবে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন ভোক্তারা।  

ভোক্তাদের দাবি গত কয়েকদিনে কাঁচাবাজারে সবজির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ১০০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। আর শীতকালীন সবজির দাম আকাশচুম্বী। অচিরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ চান ভোক্তা সাধারণ।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজারে বাংলানিউজের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা।

ক্রেতারা জানান, বাজারে কোনো পণ্যেরই দাম কমার কোনো সুখবর নেই। দু-দিন আগে পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা কেজি। আজ ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা দরে কিনতে হলো। ইলিশ ধরা বন্ধ হওয়ায় মাছের বাজারও চড়া রয়েছে।  

মো. ইসমাইল হোসেন সস্ত্রীক এসেছেন তালতলা বাজারে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন বাজার করে বাসায় নিয়ে গেলে পরিবারে মনোমালিন্য হয়। সংসারে চাহিদার সঙ্গে জোগান দিতে পারি না। তাই বাজারের চিত্র দেখাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এলাম। প্রতিদিন যেভাবে দাম বাড়ছে আমাদের মতো নিম্নমধ্যবিত্তরা জীবন নিয়ে বেঁচে থাকাটাই দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে বাজারের লাগাম টানা যাবে না বলে মনে করে শেওড়াপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবুল কাশেম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। দোকানিরা তাদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করছে। এই সব অসাধু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।  

বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সব সফলতা বিফলে যাবে বলে তিনি মনে করেন।  

এদিকে রোববার রাজধানীর এসব বাজারে  কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, শীতকালীন সবজি শিম ৪৮০ টাকা এবং নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে মাছ ও মুরগির দামও বেড়েছে।  

রাজধানীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে,  গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে  ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, একদিনের ব্যবধান বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড  ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি টাকা কমে ৩৩০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ৪৮০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ছোট সাইজের ৮০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা এবং জলপাই ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতা ৬০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লালশাক ২৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা এবং ডাটাশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারগুলোতে একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকা, আদা ৩২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা এবং পুরান আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা , মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশিকই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় মাছ ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাকিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এসএমএকে/এসএএইচ