সারাদেশে বন্ধ থাকা পাট ও চিনিকল চালুর দাবি
- আপডেট সময় : ০৯:২৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে বন্ধ থাকা পাটকল ও চিনিকলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে দুটি বিষয়ে আলাদা আলাদা দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে লতিফ বাওয়ানী জুটমিল ও করিম জুটমিলের শ্রমিকরা। একইসঙ্গে তারা লতিফ বাওয়ানী জুটমিল ও করিম জুটমিলসহ ২৬টি বন্ধ জুটমিল চালু করার দাবিও জানিয়েছে।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো
লকডাউনের সময় বদলি শ্রমিকের ২০২০ সালের ২ মাসের টাকা দিতে হবে। ২০২০ সালের ১ ও ২ জুলাই দুইদিনের বেতন দিতে হবে; ২০২০ সালের একটি ফুল বোনাস দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৮টি বোনাসে এরিয়া দিতে হবে। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চারটি বৈশাখী ভাতার এরিয়া দিতে হবে। স্থায়ী শ্রমিকদের ছুটির পাওনা ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দিতে হবে।
এছাড়া, সাবেক সরকার বলেছিল ২ মাসের ভেতরে পাওনা টাকা দেবে এবং ৩ মাসের মধ্যে মিল চালু করবে। আজ ৫ বছর হয়ে গেলো উৎপাদন বন্ধ মিলে স্টাফরা যে বেতন নিচ্ছে, সেটি বন্ধ করতে হবে; সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগির গাজী এক রাতে ২৬টি জুটমিল বন্ধ করে দেন, তাতে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার ও অসহায় হয়ে পড়ে। এটির বিচার করতে হবে; আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে প্রত্যেক শ্রমিক ১ লাখ টাকা সম্মানি ভাতা পাওয়ার আবেদন করছি। প্রতিটি জুটমিলের মহা-ব্যবস্থাপক এবং সাবেক বিজিএমসির চেয়ারম্যান ও পাট সচিব এবং গোলাম দস্তগির গাজী এদের দুর্নীতি বিচার চান তারা।
অন্যদিকে একই মানববন্ধন থেকে জানানো চিনিকল বিষয়ে পরিষদের দাবিগুলো হচ্ছে, বন্ধ সব চিনিকল চালু করতে হবে। চাকরি হারানো সব শ্রমিকের চাকর দিতে হবে। চিনিকলের শ্রমিকদের সরকারঘোষিত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতে হবে। শূন্য পদে দ্রুত জনবল দিয়ে উৎপাদনে সচলতা আনতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তাদের গ্র্যাচুইটি ও অন্যান্য বকেয়া পাওনা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত করতে। বেসরকারি আমদানি নিষিদ্ধ করে কর্পোরেশনের দায়িত্বে সকল চিনি আমদানি, পরিশোধন ও বিপণন নিশ্চিত করতে হবে; এ বছর ২৫ অক্টোবর থেকে মাড়াই মৌসুম চালু এবং মনপ্রতি ৩০০ টাকা দরে আখ মিলে দেবার সাথে সাথে আখচাষিদের পাওনা টাকা দিতে হবে। মাড়াই শুরুর এক মাসের মধ্যে সব চাষির পূর্জি পাওয়া নিশ্চিত করা। দুর্নীতি বন্ধ করে আখের সঠিক ওজন নিশ্চিত করতে হবে। রাসায়নিক সার ন্যায্য দামে সরবরাহ করতে হবে। জোনভিত্তিক হিসাবে দূরবর্তী জোনে আখচাষিকে নিজস্বভাবে আখ মাড়াই করে গুড় করার অধিকার দিতে হবে এবং সকল আখচাষি সংগঠনের এবং সকল চিনিকল শ্রমিক সংগঠনের ন্যায়সংগত দাবি মেনে নিতে হবে।
এনএস/এমআরএম/এমএস