সমবায় ব্যাংকে রাখা গ্রাহকের ৭৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে দেন আওয়ামী লীগ নেতা
- আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
সমবায় ব্যাংকে ২০১০ থেকে ২০১৮ সময়ে বিভিন্ন পদে ১৭৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। সমবায় ব্যাংক গত সপ্তাহে স্থানীয় সরকার ও সমবায় উপদেষ্টাকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলেছে, মহিউদ্দিন আহমেদ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা না করে এই নিয়োগগুলো দিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়াদের বড় অংশের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়, যেটি মহিউদ্দিন আহমেদের জন্মস্থান। ৬৩ জন তাঁর স্বজন ও আত্মীয়।
সমবায় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, মহিউদ্দিন আহমেদের সময় নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের অধিকাংশই অদক্ষ, অসৎ ও উচ্ছৃঙ্খল। তাঁদের অন্তত ১৩০ জন গৃহনির্মাণ ঋণ নিয়েছেন। অনেককেই প্রাপ্যতার চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। ঋণের বিপরীতে উপযুক্ত জামানতও নেই। ফলে সমবায় ব্যাংক প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। উল্লেখ্য, সমবায় ব্যাংকের কর্মীরা ৫০ থেকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পান।
সমবায় ব্যাংকের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংকের এসব ঘটনা এখন আর অবাক ও বিস্মিত করে না। কারণ, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের চর্চাই ছিল এটি। বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংকের জালিয়াতি হয়েছে তৎকালীন শীর্ষ ব্যক্তিদের যোগসাজশেই। তাঁরা বহুমাত্রিক দুর্নীতি করেছেন।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, দুদক ক্ষমতাসীনদের যে কিছুই করতে পারে না, সমবায় ব্যাংকের ঘটনা সেটির একটি উদাহরণ মাত্র।