শ্রমিক অসন্তোষ কমেছে, উৎপাদন স্বাভাবিক শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়
- আপডেট সময় : ১১:১১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
শ্রমিকদের নানা দাবিতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় তৈরি পোশাক শ্রমিকরা যথা সময়ে নিজেদের কর্মস্থলে প্রবেশ করে কাজে যোগদান করায় কর্মমুখর হয়ে ওঠে কারখানার পরিবেশ।
এদিকে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় মালিকরাও সন্তোষ প্রকাশ করে যথা সময়ে তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো দাবি আদায়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২২টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার নরসিংহপুর হা-মীম গ্রুপ, নিট এশিয়া, শারমিন গ্রুপ, সরকার মার্কেট এলাকার নেক্সট কালেকশন, বান্দুডিজাইন, বাগবাড়ির ডেবনিয়ার, জামগড়ার দি-রোজ, পলমল, ছয়তলার এনভয়, নিশ্চিন্তপুরের অনন্ত গার্মেন্টসসহ অধিকাংশ কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি অরবিন্দ বিন্দু বেপারী বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এখনও শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে বেশকিছু কারখানা। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় কারখানাগুলোতে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বন্ধ কারখানাগুলো অবিলম্বে খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ’র কাছে অনুরোধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কারখানা বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়। খুলে দিয়ে মালিকপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা। এছাড়া কারখানা বন্ধ থাকা নিয়ে নতুন করে যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সেজন্য দ্রুত বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে কোনো কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটেনি। বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেয়ার জন্য বিজিএমইএ ও মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আগামী শনিবারের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।
এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ