মালয়েশিয়ায় টাকা ‘পাচারে’ আমিনুল ও রুহুল আমিন
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ থেকে দেড় বছরের কিছু বেশি সময়ে চক্রে থাকা ১০০ এজেন্সির নামে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ জন কর্মীর ছাড়পত্র নেওয়া হয়। অভিযোগ আছে, এসব নিয়োগপত্রের অন্তত অর্ধেক কেনা হয়েছে টাকার বিনিময়ে। তাতে খরচ হয়েছে কর্মী প্রতি গড়ে ৬ হাজার রিঙ্গিত বা দেড় লাখ টাকা। এর মাধ্যমে পাচার হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। এটি ভিসা–বাণিজ্য হিসেবে পরিচিত।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, চক্র ফি ও ভিসা–বাণিজ্যের নামে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, যা মালয়েশিয়া থেকে আসা প্রবাসী আয়ের একটি বড় অংশের সমপরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসী আয় এসেছে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা)।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে কর্মী যায় নিয়োগকর্তার খরচে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। সরকার ধারাবাহিকভাবে এটা চলতে দিয়েছে। এটা খুবই ন্যক্কারজনক, কলঙ্কজনক, অমানবিক। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় একটা চক্র আছে, যারা বাংলাদেশি চক্রের প্রতিনিধি। প্রবাসী কর্মী ও রাষ্ট্রকে জিম্মি করে অবৈধ ব্যবসা ও টাকা পাচার করছে এ চক্র। যত দিন দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া না হবে, তত দিন এটা চলতেই থাকবে।