বাগেরহাট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদারের (১৭) মরদেহের খোঁজ মিলেছে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে।
মঙ্গলবার ( ২০ আগস্ট) তার বাবা রুহুল আমিন হাওলাদার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
বুধবার (২১ আগস্ট ) বিকেলে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের এ বীর শহীদকে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে গত ৩ আগস্ট সকালে কাউকে কিছু না বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকায় চলে যায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদার। ওই দিন দুপুরে উত্তাল ঢাকায় পৌঁছে যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। পরদিন ৪ আগস্ট বিকেলে কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে শেষবারের মতো বাবা রুহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে কথা হয় তার। বাবাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে তার জন্য দোয়া করতে বলে। এরপর কোনো এক সময়ে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শামীম হাওলাদার। তার মরদেহ কে বা কারা ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে রেখে আসে।
৪ আগষ্ট সন্ধ্যা থেকে পরিবারের সদস্যরা শামীম হাওলাদারের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। অবশেষে বাবা রুহুল আমিন হাওলাদার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছেলের গুলিবিদ্ধ মরদেহটি মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে খুঁজে পায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ এ বীর যোদ্ধাকে বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
জেএইচ