ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি/নোটিশ ::
সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||   সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে... আগ্রহীরা সিভি মেইল করুন:  career@bdnewspost.com  ||
সদ্য প্রাপ্ত খবর ::
SSC Bangladesh and International Research MCQ Query resolution 2025 – BGS Query & Solution 2025 All Board PDF bdnewspost.com দাখিল জীববিজ্ঞান MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com Dakhil Biology MCQ Query Solution 2025 – Dakhil Jibbiggan MCQ Query answer 2025 PDF Obtain bdnewspost.com ডিগ্রি ২য় বর্ষ পরীক্ষার রুটিন ২০২৫ – NU Stage second Yr Regimen 2025 bdnewspost.com দাখিল জীববিজ্ঞান MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় MCQ সমাধান 2024 PDF bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৫ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় MCQ সমাধান 2025 PDF bdnewspost.com এসএসসি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ [ক,খ,গ ও ঘ সেট সব বোর্ড] – এসএসসি ইতিহাস MCQ সমাধান 2024 PDF bdnewspost.com কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুর নিয়োগ Rangpur VAT Process Round 2025 bdnewspost.com দাখিল রসায়ন MCQ প্রশ্ন সমাধান ২০২৪ PDF মাদ্রাসা বোর্ড bdnewspost.com

ঢাকা দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে


মেয়র হয়েই টাকা মধুমতি ব্যাংকে

দক্ষিণ সিটিতে চার বছর তিন মাস মেয়র ছিলেন ফজলে নূর তাপস। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ওই নির্বাচনে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট পড়ে; আর তাপস পান ১৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট।

শেখ ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০২০ সালের মে মাসে। সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, মেয়র হয়েই তিনি করপোরেশনের স্থায়ী আমানত ও চলতি লেনদেনের বড় অংশ মধুমতি ব্যাংকে নিতে বাধ্য করেন।

দক্ষিণ সিটির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মাস শেষে হিসাব নিয়ে গেলেই শেখ ফজলে নূর তাপস টাকাগুলো মধুমতি ব্যাংকে জমা রাখতে বলতেন। এমনকি নানা অজুহাতে ঠিকাদারদের বিল আটকে রেখে সেই টাকা মধুমতি ব্যাংকে রাখা হতো। ওই কর্মকর্তা বলেন, মধুমতি ব্যাংকে টাকা আরও বেশি ছিল। প্রকল্পের টাকা খরচ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে জমার পরিমাণ কমেছে।

মধুমতি ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন একসঙ্গে নয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মধুমতি ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা শেখ ফজলে নূর তাপস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংকের কয়েকটির অবস্থা ভালো নয়। তবে মধুমতি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো। নতুন ব্যাংকগুলোতে টাকার জোগান বাড়াতে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারি সংস্থার তহবিল ব্যবস্থাপনায় নতুন নিয়ম করে। নতুন নিয়মে ৫০ শতাংশ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।

করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখার বিষয়ে চেষ্টা করেও শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই দিন আগে তিনি হঠাৎ দেশ ছাড়েন। সূত্র বলছে, এখন তাঁর অবস্থান সিঙ্গাপুরে।

অবশ্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আলোকে দেওয়া শেখ ফজলে নূর তাপসের এক সাক্ষাৎকারেও মধুমতি ব্যাংকে টাকা রাখার বিষয়টি উঠে এসেছিল। তখন প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘মেয়রের পাশাপাশি আপনি একটি ব্যাংকের পরিচালক। সেই ব্যাংকে সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নৈতিকভাবে ঠিক কি না?’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ব্যাংকে তো আমানত রাখা যায়। আমানত রাখলেই কিন্তু ওই ব্যাংকের মুনাফা হয়ে যায় না। ব্যাংক মুনাফা করলে তার ভাগ তো আপনার কাছেও যাবে, যেহেতু আপনি পরিচালক—এমন প্রশ্নে তখন তাপস বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের কোনো কিছু এখন পর্যন্ত মধুমতি ব্যাংকের বোর্ডে যায়নি, যেখানে একজন পরিচালক হিসেবে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করার কোনো সুযোগ আছে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা আগেই ছিল। দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি এক কর্মসূচিতে বলেছিলেন, তাপস দক্ষিণ সিটির শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, সাঈদ খোকনের সময়ও তাঁর পছন্দের কিছু ব্যাংকে সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা হতো। উল্লেখ্য, বড় অঙ্কের টাকা কোনো ব্যাংকে রাখা হলে সেখান থেকে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা নেওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

করপোরেশনের টাকা ব্যাংকে রাখার বিষয়ে জানতে দক্ষিণ সিটির বর্তমান প্রশাসক নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসক সিটি করপোরেশনের সব টাকা সরকারি ব্যাংকে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকা দক্ষিণ সিটির টাকা ‘তাপসের ব্যাংকে’

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪


মেয়র হয়েই টাকা মধুমতি ব্যাংকে

দক্ষিণ সিটিতে চার বছর তিন মাস মেয়র ছিলেন ফজলে নূর তাপস। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ওই নির্বাচনে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট পড়ে; আর তাপস পান ১৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট।

শেখ ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০২০ সালের মে মাসে। সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, মেয়র হয়েই তিনি করপোরেশনের স্থায়ী আমানত ও চলতি লেনদেনের বড় অংশ মধুমতি ব্যাংকে নিতে বাধ্য করেন।

দক্ষিণ সিটির সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মাস শেষে হিসাব নিয়ে গেলেই শেখ ফজলে নূর তাপস টাকাগুলো মধুমতি ব্যাংকে জমা রাখতে বলতেন। এমনকি নানা অজুহাতে ঠিকাদারদের বিল আটকে রেখে সেই টাকা মধুমতি ব্যাংকে রাখা হতো। ওই কর্মকর্তা বলেন, মধুমতি ব্যাংকে টাকা আরও বেশি ছিল। প্রকল্পের টাকা খরচ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরে জমার পরিমাণ কমেছে।

মধুমতি ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন একসঙ্গে নয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। মধুমতি ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা শেখ ফজলে নূর তাপস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ৯টি ব্যাংকের কয়েকটির অবস্থা ভালো নয়। তবে মধুমতি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা ভালো। নতুন ব্যাংকগুলোতে টাকার জোগান বাড়াতে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারি সংস্থার তহবিল ব্যবস্থাপনায় নতুন নিয়ম করে। নতুন নিয়মে ৫০ শতাংশ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।

করপোরেশনের টাকা নিজের ব্যাংকে রাখার বিষয়ে চেষ্টা করেও শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই দিন আগে তিনি হঠাৎ দেশ ছাড়েন। সূত্র বলছে, এখন তাঁর অবস্থান সিঙ্গাপুরে।

অবশ্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আলোকে দেওয়া শেখ ফজলে নূর তাপসের এক সাক্ষাৎকারেও মধুমতি ব্যাংকে টাকা রাখার বিষয়টি উঠে এসেছিল। তখন প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘মেয়রের পাশাপাশি আপনি একটি ব্যাংকের পরিচালক। সেই ব্যাংকে সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নৈতিকভাবে ঠিক কি না?’ জবাবে তিনি বলেছিলেন, ব্যাংকে তো আমানত রাখা যায়। আমানত রাখলেই কিন্তু ওই ব্যাংকের মুনাফা হয়ে যায় না। ব্যাংক মুনাফা করলে তার ভাগ তো আপনার কাছেও যাবে, যেহেতু আপনি পরিচালক—এমন প্রশ্নে তখন তাপস বলেছিলেন, সিটি করপোরেশনের কোনো কিছু এখন পর্যন্ত মধুমতি ব্যাংকের বোর্ডে যায়নি, যেখানে একজন পরিচালক হিসেবে ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাবিত) করার কোনো সুযোগ আছে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা আগেই ছিল। দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি এক কর্মসূচিতে বলেছিলেন, তাপস দক্ষিণ সিটির শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তর করেছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, সাঈদ খোকনের সময়ও তাঁর পছন্দের কিছু ব্যাংকে সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা হতো। উল্লেখ্য, বড় অঙ্কের টাকা কোনো ব্যাংকে রাখা হলে সেখান থেকে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা নেওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

করপোরেশনের টাকা ব্যাংকে রাখার বিষয়ে জানতে দক্ষিণ সিটির বর্তমান প্রশাসক নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তবে সাড়া পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন প্রশাসক সিটি করপোরেশনের সব টাকা সরকারি ব্যাংকে স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন।