ডিবি হারুনসহ ১৮৭ পুলিশ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৪:৫২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশের পলাতক ও চাকরিচ্যুত ১৮৭ জন কর্মকর্তার অফিসিয়াল পাসপোর্ট বাতিল করছে সরকার। এরই মধ্যে পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
এসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এই চিঠি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নাম ও পরিচয়পত্র সংযুক্তসহ অধিদপ্তরে এলেই তা কার্যকর হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কাজে যোগ না দেওয়া পুলিশ সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের করতে তালিকা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার অনলাইন সংবাদমাধ্যম বলেন, ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর যেসব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন বা পলাতক আছেন, তাদের একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো চিঠির জবাব এলেই পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর বিভিন্ন পদমর্যাদার অন্তত ১৮৭ পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেননি। কাজে না ফেরা এই পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায়। যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ, বিশেষ শাখার প্রধান মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
তবে ১৮৭ পুলিশ সদস্যের মধ্যে কতজনের পাসপোর্ট আছে তা জানা যায়নি। পুলিশের ওই কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল ছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্রও বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আভাস দিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এছাড়াও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
এরই মধ্যে কয়েকজনের পাসপোর্ট বাতিলের কাজ শুরু হয়ে গেছে এমন তথ্য উল্লেখ করে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমান।
এছাড়াও ওই তালিকায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম