কেউ প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে, কারও আশ্রয় দোকানে
- আপডেট সময় : ১১:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
নাজিরহাট বাজারের একটি চা–দোকানে ৭৫ বছর বয়সী আবুল কাসেমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এমন বন্যা আগে কখনো দেখেননি। তিনি বাজারে এসেছিলেন। হঠাৎ বন্যা দেখা দেওয়ায় আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। রাতে বাজারে এক পরিচিত ব্যক্তির দোকানে থেকে যান।
মুহাম্মদ ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাজারের একটি দোকানে। তিনি বলেন, ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে চলে আসেন। চিড়া খেয়ে দিন পার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে তিন দিন ধরে পর্যায়ক্রমে ফটিকছড়ির ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার পর থেকে পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো উত্তর ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকা এবং নাজিরহাট পৌর এলাকার দিকে কোথাও বুক, কোথাও কোমরসমান পানি। বসতঘর, সড়ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবকিছুই ডুবে রয়েছে।