সাভার (ঢাকা): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামি মো. আমির হোসেনকে (৩০) আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান।
এর আগে গতকাল রাতে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকায় র্যাব-৪ ও র্যাব-১০ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার মো. আমির হোসেন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার দক্ষিণ মান্দারতলী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি লেনদেনের বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে হোসেনকে (১৪) অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
র্যাব জানায়, পলাতক আসামি (বন্দি নম্বর ১০১৯) আমির হোসেন (৩০) অপহরণ ও হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান। পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন এবং স্থান পরিবর্তন করেন।
র্যাব আরও জানায়, নিহত হোসেনের (১৪) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লেনদেনের বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল আসামি আমির হোসেনের। পরে তার বন্ধু নুর আলম, রিপন ও তাদের সহযোগীদের নিয়ে হোসেনের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১০ সালের ৫ জুন দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে বাড়ির পাশের চা দোকান থেকে হোসেনকে অপহরণ করে করে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাগার এলাকায় ফেলে রেখে যায় তারা। এ ঘটনায় টঙ্গী থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যা মামলা করলে আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তখন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার বন্দি ছিলেন। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৬ আগস্ট তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান। এর পর বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক আসামি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
জেএইচ